ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বস্তা সেলাইয়ের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল বর্ধমান শহরের ১৯নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন তেজগঞ্জ এলাকায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে আচমকাই এই কারখানা থেকে গলগল করে ধোঁয়া বেড়োতে দেখে এলাকায় হইচই পড়ে যায়। খবর দেওয়া হয় দমকলে। দমকলের একটি বড় ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনটি পাইপের সাহায্যে জল দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে।
জানা গেছে ওই কারখানাটিতে ছেঁড়া বস্তা সেলাই করে ফের বাজারে সরবরাহ করা হতো। ফলে প্রচুর বস্তা মজুদ ছিল সেখানে। আগুন লাগার পর দ্রুত সেই বস্তার লাট দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে। গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। দমকলের কর্মীরা প্রায় আধ ঘন্টা খানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এদিকে কি কারণে আগুন লেগেছিল সে ব্যাপারে এখনি পরিষ্কার করে কিছু জানা না গেলেও কারখানা মালিক সুরেশ সাউ জানিয়েছেন, তার সন্দেহ প্রসেনজিৎ পাসোয়ান নামে কারখানার এক কর্মী এই আগুন লাগিয়ে দিয়ে পালিয়ে গেছে। তিনি জানিয়েছেন, ওই কর্মী দিন ১৫আগে কাজে ঢুকেছিল। ১০০টাকা রোজ হিসেবে কাজ করছিল। তিনদিনের টাকা বকেয়া ছিল। এদিন সকালে মদ খেয়ে এসে সেই টাকা দেবার জন্য বলে। তাকে বিকেলে হিসেব করে টাকা দিয়ে দেবার কথা বলাও হয়।
এরপর তিনি তেলিপুকুরে চা খেতে গেলে সেই ফাঁকে সম্ভবত ওই কর্মী কারখানায় আগুন লাগিয়ে পালিয়ে গেছে। প্রায় লক্ষাধিক টাকার বস্তা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এর আগেও ২০০৭সালে একবার রাতের দিকে এই কারখানায় আগুন লেগেছিল। সুরেশ সাউ জানিয়েছেন, পুরনো ছেঁড়া বস্তা নিয়ে এসে সেগুলোকে সেলাই করে বিক্রি করা হতো। এক ধাক্কায় এতো টাকার মাল আগুনে পুড়ে যাওয়ায় তিনি রীতিমত বিপদে পড়লেন।