ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, খণ্ডঘোষ: কিছুদিন ধরেই রাতের অন্ধকারে টোটোর ব্যাটারি চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিল চোরে। প্রথমদিকে টোটোর মালিকরা বুঝতে পারছিলেন না কে বা কারা এই চুরি করছে। এরপর স্থানীয় মাদ্রাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে হদিস মিললো চুরি চক্রের। তবে মূল চোর কে এখনও ধরতে না পারলেও চুরি করা ব্যাটারি যে ব্যক্তির বাড়িতে মজুদ করা হয়েছিল তাকে ধরে ফেলছে গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানার শাঁখারি ১ অঞ্চলের উদয়কৃষ্ণপুর গ্রামে। খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ হাসিবুল মল্লিক নামে এক ব্যক্তিকে ঘটনাস্থল থেকে শনিবার আটক করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত ব্যক্তি পুলিশের কাছে চুরির ব্যাটারি কেনার কথা স্বীকার করেছে। এমনকি মূল চোর মহিউদ্দিন মল্লিক ওরফে কালো কচির নামও পুলিশ কে জানিয়েছে সে। এই ঘটনায় এদিন এলাকায় রীতিমত উত্তেজনা তৈরী হয়। জানা গেছে, গত ১২ তারিখে উদয়কৃষ্ণপুরের বাসিন্দা শেখ রফিকুল ইসলাম ওরফে আজফারের টোটোর চারখানা ব্যাটারি চুরি যায়। বিষয়টি গ্রামে চাউর হতেই গোটা গ্রামের লোক খোঁজ শুরু করে চোরের।
শেষমেষ গ্রামের মাদ্রাসার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চুরি ও চোরের কিনারা করেন তারা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গ্রামেরই বাসিন্দা মহিউদ্দিন মল্লিক ওরফে কালো কচি নামে এক ব্যক্তি চুরি করেছে এই টোটোর ব্যাটারি। চুরি করে খালেরপুলের বাসিন্দা হাসিবুল মল্লিক নামে এক যুবককে বিক্রি করে। এরপর হাসিবুল তার টোটো করে উদয়কৃষ্ণপুর গ্রাম থেকে ব্যাটারিগুলো নিয়ে আসে তার বাড়িতে। এদিন গ্রামবাসীরা অনেকে হাসিবুলের বাড়িতে চড়াও হলে সে চুরি করা ব্যাটারি কেনার কথা স্বীকার করে নেয়। একইসাথে মূল অভিযুক্তের নামও জানিয়ে দেয় গ্রামবাসীদের।
এরপর গ্রামবাসীরাই খবর দেন খন্ডঘোষ থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ। পুলিশ এসে খালেরপুলের বাসিন্দা হাসিবুল মল্লিক কে আটক করে নিয়ে যায় থানায়। যদিও ব্যাটারি চুরির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মহিউদ্দিন মল্লিক ওরফে কাল কচি পলাতক। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই কালো কচি দিনের বেলায় মাংস বিক্রি করে। আর রাত্রে চুরি করে বেড়ায় গ্রামের অনেকের বাড়িতে। অভিযোগ গত কয়েকমাসে গ্রামে বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। তাই গ্রামবাসীদের দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করুক। ব্যাটারি চুরির ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ।