ক্রাইম

একই রাতে ভাতারের তিনটি ঐতিহ্যবাহী কালী মন্দিরে দুঃসাহসিক চুরি, স্থগিত বিসর্জন, বিষণ্ণতা গ্রামজুড়ে

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,ভাতার: পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের ওরগ্রামে পরপর তিনটি ঐতিহ্যবাহী কালী মন্দিরে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল বুধবার সকালে। ভাতারের ওরগ্রাম রায়পাড়ায় রয়েছে খেপি মায়ের মন্দির। ৩০০ বছর ধরে হয়ে আসছে মায়ের পুজো। বিভিন্ন সময়ে ভক্তরা মাকে উৎসর্গ করে প্রচুর সোনা ও রুপোর গহনা দিয়েছেন। গতকাল রাত্রে এই মন্দিরেই দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটলো। দশ ভরি সোনা ও ৫ কিলো রুপোর গহনা চুরি গেছে বলে মন্দির কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে। রায় পাড়ায় আরেকটি মন্দির রয়েছে যা ছোট মা নামে পরিচিত। সেখানেও গতকাল রাত্রে চুরির ঘটনা ঘটে। চুরি যায় এক ভরি সোনা ও চার ভরি রুপো।

এছাড়াও ভাতার থানার অন্তর্গত ওরগ্রামের নতুন পাড়ায় রয়েছে বড় মায়ের মন্দির। সেখানেও ৩৫০ বছর ধরে হয়ে আসছে বড় মায়ের পুজো।গতকাল রাত্রে সেখানেও দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে। সেখান থেকেও প্রায় পাঁচ ভরি সোনা ও ১০০ ভরি রুপো চুরি গেছে বলে জানান মন্দির কর্তৃপক্ষ। সব মিলিয়ে একই রাতে পরপর তিনটি মন্দিরে চুরির ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ভাতার থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই তিনটি মন্দিরে প্রায় একই সময়ে চুরির ঘটনার জোরদার তদন্ত শুরু করেছে। পাশপাশি বুধবার এই তিনটি কালী প্রতিমার বিসর্জনও আপাতত স্থগিত রাখার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়েছে।

একই থানা এলাকার তিনটি ভিন্ন স্থানের কালী মন্দিরে চুরি প্রসঙ্গে অমিয় রায়, তুষার ঢালী, পূর্ণিমা বাগদি, নীলিমা হালদার প্রমুখ গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা এর আগে কোনদিন ঘটেনি। মায়ের মূর্তি থেকে সমস্ত গহনা চুরির ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা গ্রাম। সকাল থেকেই সকলে নাওয়া খাওয়া ছেড়ে মন্দির চত্বরেই পড়ে আছে। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন গ্রামের প্রতিটি মানুষ। বিষণ্ণতা ছেয়ে গেছে তিনটি এলাকাতেই। এখন মা ই ভরসা, যারা এই দুঃসাহস দেখিয়েছে তাদের খুঁজে বের করে আবার নিজের অলংকার নিজের কাছে ফিরিয়ে আনার।