কাঁকসায় দুদিন বন্ধ থাকার পর ফের শুরু হয়েছে অজয় নদ থেকে বালি চুরি ও পাচারের কাজ

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, কাঁকসা: দুদিন বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার ফের বালি চুরি করে পাচারের কাজ শুরু করে দিলো বালি মাফিয়ারা। পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থানার বনকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের সতকাহনিয়া গ্রামের অজয় নদীর পেয়ারাবাগান ও শ্মশান ঘাট এলাকা থেকে এদিন সন্ধ্যার পর থেকেই দেদার বালির গাড়ি লোড হতে শুরু হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানতে পারা গেছে। যদিও এদিন বিকেলের দিকে গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে ভূমি রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিক ও কাঁকসা থানার পুলিশ এই দুটি ঘাটে অভিযানে যায় বলে এলাকার কয়েকজন সংবাদমাধ্যম কে খবর দেয়।

বিজ্ঞাপন

অভিযানের খবর পেয়ে বালি মাফিয়ারা তড়িঘড়ি ঘাট থেকে গাড়িগুলোকে আশপাশের জঙ্গল এলাকায় সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করে। কিছুক্ষণ বালি তোলার কাজ বন্ধও হয়ে যায় বলে স্থানীয় গ্রামবাসীদের সূত্রে জানা গেছে। কিন্তু কথায় আছে, চাষী গেল ঘর, তো লাঙ্গল তুলে ধর। ঠিক তেমনি প্রশাসনের লোকজন এলাকা ছাড়তেই বালি মাফিয়ারা ফের জোর কদমে শুরু করে দেয় অবৈধ ঘাট থেকে মেশিন দিয়ে নদীর বালি তুলে গাড়িতে লোড করে পাচারের কাজ। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি গাড়িতে বালি তুলে পাচার করা হচ্ছে বেআইনি পেয়ারাবাগান ও শ্মশান ঘাট এলাকা থেকে। মূলত বালি লোড করার পর গভীর রাতে এইসমস্ত গাড়ি গুলোকে গ্রামের রাস্তা দিয়ে বের করার পরিকল্পনা করেছে বালি মাফিয়ারা বলে সূত্রের খবর।

জানা গেছে, কাঁকসা থানা এলাকার বনকাটি পঞ্চায়েতে অজয় নদী থেকে সরকারি ভাবে বালি উত্তোলন করার জন্য একটি মাত্র লেসি কে অনুমতি দেওয়া আছে ভূমি রাজস্ব দপ্তরের। কাঁকসা ব্লক ভূমি রাজস্ব আধিকারিক রাজিব গোস্বামী জানিয়েছেন, ‘গত ২৬আগস্ট থেকে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন নদী থেকে বালি তোলার বিষয়ে বর্ষাকালীন নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। সুতরাং বৈধ ঘাট থেকে বালি তুলতেই পারে। তবে সরকারি নিয়ম মেনেই বালি তোলার কাজ হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য আমরা নিয়মিত অভিযান চালাই। অনিয়ম ধরা পড়লে প্রশাসনিক পর্যায়ে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়।’

কিন্তু প্রশাসনের নজরদারির মাঝেই কিভাবে প্রশাসনিক নির্দেশ কে অমান্য করে নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি তুলে পাচার করে দিচ্ছে মাফিয়ারা তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় গ্রামবাসীদের একাংশ। এমনকি প্রশাসনের অভিযানের খবরও অনেক সময় আগাম পৌঁছে যাচ্ছে এই সমস্ত বালি মাফিয়াদের কাছে বলেও অভিযোগ। ফলে গ্রামবাসীদের অনেকের অভিযোগ, প্রশাসন ‘ নাম ক ওয়াস্তে ‘ অভিযানে আসছে ঠিকই, কিন্তু শেষমেষ কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। বেপরোয়া বালি মাফিয়ারা সরকারি রাজস্ব লুট করে মুনাফা কামিয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন। ক্ষতি হচ্ছে নদীর, গ্রামের রাস্তার বলে অভিযোগ।

ছবি – ফাইল

আরো পড়ুন