ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বর্ধমান শহরের বাজেপ্রতাপুর, মালিরবাগান এলাকা থেকে এক বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী সহ অনুপ্রবেশে সাহায্যকারী এবং এক আশ্রয়দাতা কে সোমবার গ্রেপ্তার করেছিল বর্ধমান থানার পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করে এদের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশী রাজু আহমেদ ও এজেন্ট সুদীপ কুমার দাস ওরফে বাপন কে ৬দিনের পুলিশি হেফাজতে পাওয়ার পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বুধবার একই জায়গা থেকে ফের এক অনুপ্রবেশকারী কে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। তার নাম আকাশ দাস।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত ব্যক্তি নিজেকে ত্রিপুরার বাসিন্দা বললেও পুলিশের কাছে দেওয়া নথি সমস্ত ভুয়ো। এমনকি ধৃত ব্যক্তির কথাবার্তাও অসংলগ্ন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। বুধবার ধৃতকে আদালতে পেশ করে তদন্তের স্বার্থে পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হলে, আদালত পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছেন।
পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক দে জানিয়েছেন, ’পুলিশের কাছে ধৃত আকাশ দাস নিজেকে ভারতীয় প্রমাণ করার জন্য একটি পরিচয় পত্র দেয়। সেখানে আকাশ দাসের ঠিকানায় লেখা রয়েছে, পিতা দুলাল দাস, গ্রাম- নাগেশ্বরা, থানা – পানিসাগর, জেলা আগরতলা ও ত্রিপুরা রাজ্যের কথা লেখা ছিলো। পুলিশ আকাশের দেওয়া সেই ঠিকানায় সন্ধান চালিয়ে জানতে পারে এরকম কোন থানা বা গ্রাম বা জেলা নেই ত্রিপুরায়। ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে তার সঠিক পরিচয় জানার পাশাপাশি আরো কোথায় কোথায়, কারা বিনা নথিতে এইদেশে বসবাস করছে তা জানার চেষ্টা করা হবে।’
পুলিশ জানিয়েছে ধৃত ব্যক্তি রোহিঙ্গা। এখানে এসে নকল পরিচয় পত্র তৈরী করে বসবাস করছিল ত্রিপুরার ঠিকানা দিয়ে। বাজেপ্রতাপুর মালিরবাগান এলাকা থেকে ধৃত শেখ মাজেদ রহমান মুলত বাংলাদেশ থেকে এখানে লোকজন নিয়ে আসার কাজ করতো। তবে আকাশ দাস যদি সত্যিই রোহিঙ্গা হয় তাহলে তার সঙ্গে আরোও কেউ এখানে এসেছে কিনা সে বিষয়ে জানতে পুলিশ তৎপরতা শুরু করেছে। পাশাপাশি জেলায় আরো কোথায় বাংলাদেশ থেকে আসা লোকজন এবং রোহিঙ্গা রয়েছে সে বিষয়েও শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ।