---Advertisement---

পরিযায়ী পাখি মৃত্যুর পরই দামোদরের পাড় বরাবর ব্যাপক প্রচারে নামল বন বিভাগ

Souris Dey

Published

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান ২-ব্লকের বৈকুণ্ঠপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীরামপুর এলাকার দামোদরের জলে একাধিক পরিযায়ী পাখির রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার পরই রীতিমত নড়েচড়ে বসল জেলা বন বিভাগ। সোমবার পাখি মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসর পরই মঙ্গলবার থেকে দামোদর নদের পাড় বরাবর চৈত্রপুর থেকে ইদিলপুর পর্যন্ত এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালানো হল বন বিভাগের পক্ষ থেকে। বন বিভাগের কর্মীরা মাইকিং করে, ফ্লেক্স নিয়ে এলাকায় এলাকায় প্রচার চালান। মূলত পরিযায়ী পাখিদের রক্ষা করতে ও বন্যপ্রাণী হত্যা থেকে বিরত থাকার বিষয়ে এদিন সাধারণ মানুষকে সচেতন করেন কর্মীরা।

বিজ্ঞাপন

বন দপ্তরের কর্মীরা এদিন চৈত্রপুর, শ্রীরামপুর, সদরঘাট ও ইদিলপুর ইত্যাদি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে মাইকিং করে জানান, ‘ পরিযায়ী পাখিদের কেউ কোনোভাবে বিরক্ত করবেন না। এরা আমাদের অতিথি। এদের কে দেখে আনন্দ উপভোগ করুন। কেউ এদের দিকে ঢিল ছুঁড়ে কিংবা অন্য কোনভাবে বিরক্ত করবেন না বা মারার চেষ্টা করবেন না। এই পাখিরা বহু দূর দূরান্ত থেকে খাদ্যের সন্ধানে এখানে কিছুদিনের জন্য অতিথি হিসেবে এসেছে। ফের এরা নিজেদের বাসস্থানে ফিরেও যাবে। তাই এদের শান্তি বিঘ্নিত করা আমাদের উচিত নয়। কেউ বা কারা যদি পাখি মারেন বা বন্য প্রাণী হত্যা করেন সেক্ষেত্রে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন মোতাবেক সেই ব্যক্তি বা তাদের জরিমানা সহ সাত থেকে আট বছর পর্যন্ত জেল হেফাজত হতে পারে। আপনারা জানেন বন্য প্রাণী ও পাখি হত্যা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।’

পূর্ব বর্ধমান জেলা বিভাগীয় অতিরিক্ত বনাধিকারিক সোমনাথ চৌধুরী বলেন,’ পরিযায়ী পাখি মৃত্যুর ঘটনার ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করা হয়েছে। মৃত পাখিদের ময়না তদন্তের প্রক্রিয়া চলছে। রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে পারা যাবে। তবে আজকে আর নতুন করে কোথাও পাখি মৃত্যুর খবর আসেনি। যদিও ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার থেকে দামোদর পাড় সংলগ্ন এলাকাজুড়ে দপ্তরের পক্ষ থেকে স্থানীয় এলাকাবাসীদের আরো সচেতন করতে প্রচার চালানো শুরু করা হয়েছে। এমনিতেই জেলাজুড়ে সারাবছরই বন বিভাগের পক্ষ থেকে বন্য প্রাণী হত্যা বন্ধে ব্যাপক প্রচার চালানো হয়।

See also  শুরু হল বর্ধমান পৌর উৎসব ২০২৩

কিছুদিন আগেই কেতুগ্রামের উদ্ধারণপুর ও কাটোয়ার দাইহাট এলাকায় স্থানীয় মৎসজীবী, পঞ্চায়েত, পশুপ্রেমী সংস্থা, এনজিও ও বন দপ্তরের কর্মীদের নিয়ে সচেতনতামূলক কর্মশালা করা হয়েছে। সেই কর্মশালাগুলিতে আলোচ্য বিষয়ই ছিল পরিযায়ী পাখিদের উপর পর্যবেক্ষণ, সাধারণ মানুষকে সচেতন করা ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণের উপর নজরদারি বাড়ানো। উপস্থিত ছিলেন জেলা বিভাগীয় বনাধিকারিক নিশা গোস্বামী। এছড়াও আমরা পূর্বস্থলির চুপি থেকে নয়াচর পর্যন্ত স্পিড বোট নিয়ে পরিযায়ী পাখিদের উপর নজরদারি চালিয়েছি। খুব শীঘ্রই প্রতি বছরের মতো এবারও জেলা জুড়েই পাখি গণনার কাজ শুরু করা হবে।’

শেয়ার করুন 🤝🏻

Join WhatsApp

Join Now
---Advertisement---