---Advertisement---

বর্ধমান জজ কোর্টের সরকারি আইনজীবির অপসারণের দাবিতে সরব আইনজীবিরাই, অচলাবস্থা

Souris Dey

Published

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বর্ধমান জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবি (public procecutor ) শ্যামল কুমার গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ তুলে জেলা ও দায়েরা বিচারক সহ জেলা শাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিলেন বর্ধমান আদালতের ২৮জন এপিপি। লিখিত অভিযোগে আইনজীবিরা জানিয়েছেন, এই সরকারি আইনজীবি জীবনে কোনদিন ফৌজদারি মামলা না করেই পিপি হয়েছেন। বিভিন্নভাবে অসৎপথে তিনি টাকা রোজকার করছেন। তিনি যে এপিপি নিয়োগ করেছেন সেগুলিও কোন নিয়ম মেনে করা হয়নি। অবিলম্বে এই পিপি কে না সরানো হলে জেলা আদালতের কোন রকম মামলায় আইনজীবিরা অংশ নেবেন না।

বিজ্ঞাপন

আইনজীবিদের কোন মামলায় অংশ না নেবার সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের উপরে তার প্রভাব পড়বে বলেই জানিয়েছেন বিচারপ্রার্থীদের একাংশ। বর্ধমান বার এসোসিয়েশনের সম্পাদক সদন তা বলেন, ‘আমরা ৩২ জন আইনজীবির (এপিপি) মধ্যে ২৮জন আইনজীবি আমাদের অভিযোগপত্র জেলাশাসক ও জেলা জজের কাছে জমা দিয়েছি। সম্পুর্ণ অগণতান্ত্রিকভাবে বর্তমান পিপি ( পাবলিক প্রসিকিউটর ) আদালতে কাজ করছে। রাজ্য সরকারের নাম বদনাম করছেন। বিভিন্ন এজেন্ট নিয়োগ করে তাদের মাধ্যমে টাকা রোজকার করছেন। রাত ৮টা অবধি আদালত খোলা রাখতে বাধ্য করাচ্ছেন। যিনি নিজে কোনদিন ফৌজদারি মামলা লড়লেন না তিনি কিভাবে নিয়োগ হন। ওনার নিয়োগেও অসংগতি রয়েছে। যাঁদের এপিপি নিয়োগ করেছেন সেটাও ভুল। অবিলম্বে এই পিপি কে সরানো না হলে আমরা এই ২৮ জন আইনজীবি জেলা আদালতের কোন মামলায় অংশ নেব না সেটাও আমরা জানিয়ে দিয়েছি।’

বর্ধমান বার এসোসিয়েশনের সভাপতি অরূপ দাস বলেন, ‘আমাদের এই প্রতিবাদের সঙ্গে বর্ধমান বারের কোন সম্পর্ক নেই। আমরা এই ২৮ জন আইনজীবি ব্যক্তিগতভাবে সই করে অভিযোগ জমা করেছি পিপি শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের নানা ধরণের অগণতান্ত্রিক কাজের বিরুদ্ধে। ওনাকে সরানো না হলে আমরা সাক্ষরকারীরা কাজ করব না সেটাও সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ পিপি শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় কে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন না ধরায় কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

See also  বর্ধমানে ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়ার অভিযোগে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেপ্তার দশ জন, রাজনৈতিক সমীকরণ পাল্টানোর ইঙ্গিত!
শেয়ার করুন 🤝🏻

Join WhatsApp

Join Now
---Advertisement---