ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, গলসি: গলসির শিকারপুর থেকে শিল্ল্যা – দামোদর নদের পাড়ে বেআইনি ভাবে মজুদ করা হয়েছে একাধিক বালির গাদা। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে রাতের অন্ধকারে সেইসব অবৈধ বালির স্টক থেকে শয়ে শয়ে গাড়ি তে বালি পাচার করে দিচ্ছে কিছু অসাধু বালির কারবারিরা। বর্ষার সময়েও সরকারি নির্দেশ না মেনে কোন কোন জায়গা থেকে নদী থেকে বালি তুলে মজুদ করে সেই বালি চড়া দামে বিক্রি করে দিচ্ছে কিছু বালি মাফিয়া বলে অভিযোগ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বালি চুরির অভিযোগে মাঝে মধ্যেই অভিযান চললেও, সুযোগ বুঝে একই কাজ করে চলেছে ওইসব বালি কারবারিরা।গলসি এলাকার শিল্লা, গোহগ্রাম, গোপডাল বাঁশতলা ঘাট ও শিকারপুরে এরকম ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। পুলিশ বেশ কিছু বালির গাড়ি সহ একাধিক ব্যক্তিকে এই বেআইনি বালি কারবারের সঙ্গে যুক্ত থাকায় গ্রেপ্তার করেছে। তারপরেও চোরাগোপ্তা বালি চুরি চলছেই।
এমনকি সরকারি ভাবে বাজেয়াপ্ত করা বালির স্টক থেকেও বালি চুরির অভিযোগ সামনে এসেছে। সম্প্রতি অবৈধ ভাবে বালি বিক্রির অভিযোগে গলসি ২ ব্লক ভূমি রাজস্ব আধিকারিক ও গলসি থানার পুলিশ প্রশাসন যৌথ অভিযান চালায় গোহগ্রামের গোপডাল বাঁশতলা ঘাট সংলগ্ন এলাকায়। সেখানে একটি মজুদ বালি বাবদ সরকারি টাকা সম্পূর্ন জমা না করেই বালি বিক্রি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। আর তারপরই পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাস্থলে থেকে একটি লরি ও বালি উত্তোলনের একটি জেসিবি মেশিন বাজেয়াপ্ত করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেসিবি মেশিনটি পুরাতনগ্রামের এক বাসিন্দার। ওই ব্যক্তিও বালি পাচারের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গেছে। অভিযানের আগাম খবর চলে আসায় বালি পাচারকারীরা সেইসময় পালিয়ে যায় ফলে কাউকে ধরা পুলিশের পক্ষে সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে। স্থানীয়দের একাংশের আরো অভিযোগ, অবৈধভাবে বালি বিক্রি করার একটি সিন্ডিকেট এই এলাকায় সক্রিয় রয়েছে।
এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের অনেকের অভিযোগ, অন্যের মজুদ করা বালিও এদের লোকজন বিক্রি করে দিচ্ছে বেআইনিভাবে। অভিযোগ, বালি মজুদ করার জন্য কোন ব্যক্তির জমি বাবদ যে টাকার চুক্তি করা হয়, এই বালি কারবারিরা জমির মালিককে সেই টাকাও দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। এমনকি সিন্ডিকেটের লোকজন হুমকিও দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে আসছে এলাকা থেকে।