ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, গলসি: বেআইনি ভাবে বালি চুরি করে পাচার করার অভিযোগে রবিবার ভোরে গলসি থানার পুলিশ ৯টি ট্রাক্টর কে আটক করেছে। দামোদর নদ থেকে বালি চুরি করে জুজুটির দিক থেকে গলসির দিকে আসার সময় ৩টি ট্রাক্টর ও শিকারপুর থেকে বালি বোঝাই করে আসার পথে ৬টি ট্রাক্টর কে আটক করে পুলিশ। যদিও পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ট্রাক্টর গুলো ভাঙ্গাবাঁধ এলাকায় রাস্তায় ফেলে চালকরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ট্রাক্টর গুলোর মালিকদের খোঁজ শুরু করেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, চালান ছাড়া বালির গাড়ি রাস্তায় দেখলেই ধরা হবে। এই বিষয়ে নিয়মিত নজরদারি চালানো হচ্ছে।
অন্যদিকে গোহগ্রামে দামোদর নদ থেকে প্রায়ই রাতের দিকে বালি চুরি চলছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় এক পঞ্চায়েত সদস্য ও তার দলবল এই বেআইনি বালির কারবারের সঙ্গে যুক্ত বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ। যদিও গত দুদিন ট্রাক্টর চলাচল এলাকায় বন্ধ আছে বলে সূত্রের খবর। কারণ ট্রাক্টর পিছু বালির দাম বাড়িয়ে দেওয়া নিয়ে ট্রাক্টর মালিক ও অবৈধ বালি ঘাটের লোকজনের সঙ্গে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে এলাকায়। শনিবার রীতিমত সমস্যা সমাধেনের জন্য দুপক্ষ পুরাতন বাইপাস এলাকায় আলোচনাতেও বসে। সূত্রের খবর, ট্রাক্টর প্রতি বালির দাম ( ঘাট থেকে) ৩০০টাকা থেকে কমিয়ে ২৫০ টাকা করতে হবে। তা নাহলে স্থানীয় সুন্দলপুর এলাকার কিছু বালি কারবারি হুমকি দিয়ে রেখেছে যে, সেক্ষেত্রে ওই এলাকা দিয়ে কোনো বালির গাড়ি যেতে দেওয়া হবে না। এই নিয়ে এলাকায় তৈরি হয়েছে চাপা উত্তেজনা।
স্থানীয় এলাকাবাসীদের একাংশ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, বেআইনি বালি কারবারের রাশ কাদের দখলে থাকবে তা নিয়ে এর আগেও এলাকায় সংঘর্ষ, মারপিট হয়েছে। আবার পরিস্থিতি সেইদিকে গেলে ফের সুস্থ পরিবেশ অসুস্থ হয়ে উঠতে পারে। সেক্ষেত্রে পুলিশ ও প্রশাসনের গোহগ্রামের দিকে নজরদারি আরো বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বাঁকুড়ার পাত্রসায়র থানার অধীনে এক বৈধ ইজারাদারের লোকজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল গোহগ্রাম এলাকার কিছু ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পাত্রসায়র থানায় অভিযোগও দায়ের করেছিলো আক্রান্ত ইজারাদার গোষ্ঠীর ম্যানেজার। এরপর ফের এলাকায় ট্রাক্টর মালিক ও অবৈধ বালি ঘাটের লোকজনের মনোমালিন্য নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন এলাকাবাসীদের অনেকেই।
ছবি – ফাইল