ইদিলপুরে দিন দুপুরে দেদার বালি চুরির অভিযোগ, নিষ্ক্রিয় পুলিশ ও প্রশাসন

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: নদীর বাঁধের ধারের বালি, মাটি কেটে দিন দুপুরে পাচার করে দিচ্ছে কিছু দুষ্কৃতী। এমনকি নদী থেকে চুরি করে তুলে রাখা মজুদ বালিও ট্রাক্টরে করে পাচার করছে স্থানীয় কিছু বালি মাফিয়া। কোন বৈধ চালান ছাড়াই এই বালি পাচার করে দিচ্ছে তারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশের একাংশের সঙ্গে ’ সেটিং ’ করে এই দুষ্কৃতীরা বালি পাচার করছে। পাশাপাশি দিনের পর দিন সরকারের রাজস্ব লুট হয়ে চললেও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিকদের কোন হেলদোল নেই। নেই এই এলাকা জুড়ে কোনো নজরদারিও। ফলে বর্ষার মরশুমে নদী বাঁধের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসীদের অধিকাংশই।

 

বর্ধমান থানার অধীনে ইদিলপুর হনুমান মন্দির সংলগ্ন এলাকায় দামোদর নদের পাড় জুড়ে চলছে এই বালি চুরি। স্থানীয় বাসিন্দা রাহুল চৌধুরী সহ আরও অনেকেই অভিযোগ করেছেন, এলাকার বাসিন্দা সূরজ চৌধুরী, দিলীপ চৌধুরী, মুন্না চৌধুরী সহ আরো বেশ কয়েকজন বালি কারবারি এই চুরির সঙ্গে যুক্ত। একসময় এরাই এই এলাকায় বালি চুরি করে ফাঁক করে দিচ্ছিল। পরে গ্রামবাসীদের যৌথ প্রতিরোধে এই বালি মাফিয়াদের চুরি বন্ধ হয়ে যায়। আর তারপর থেকেই বর্ধমান থানার পুলিশ অতি সক্রিয় হয়ে ওঠে এলাকায় বালির নজরদারিতে। যদিও আগে পুলিশের এই নজরদারি তেমন দেখা যেতো না।

কিন্তু সম্প্রতি সুরজ চৌধুরী, দিলীপ চৌধুরী, মুন্না রা ফের নিজেদের পুরনো জায়গা দখল করার চেষ্টা শুরু করছে। এদের সঙ্গে আরও অনেকেই যুক্ত রয়েছে। এই নিয়ে এলাকায় রীতিমত ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, এখন দিন রাত বালি চুরি চলতে থাকলেও পুলিশের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। এর থেকেই এলাকাবাসীর সন্দেহ তৈরি হচ্ছে যে এই বালি মাফিয়াদের সঙ্গে পুলিশের একাংশের অশুভ আঁতাত রয়েছে। তা না হলে এই বালি চোর দের কেন গ্রেফতার করছে না পুলিশ! এরই পাশাপাশি, ইদিলপুর বাঁধের উপর বটতলায় দীর্ঘদিন ধরে বেআইনি চোলাই, মদের কারবার চালাচ্ছে চৌথি চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি। এই নিয়েও এলাকায় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। কিন্তু পুলিশি নজরদারিতে এইসব কোনকিছুই আসে না!

 

এমনকি স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, সন্ধ্যার পর থেকেই আঞ্জির বাগান ব্রিজের নিচে, ইদিলপুর বাঁধের ওপর প্রতিদিন পুলিশের টহলদারি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। তাহলে তারপরও কিভাবে বিনা চালানে একের পর এক বালির গাড়ি পেরিয়ে যাচ্ছে? কিভাবে চলছে বেআইনি মদের কারবার? স্থানীয়দের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, পুলিশ ও প্রশাসন যদি এইসব অবিলম্বে বন্ধ না করে, এবং দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার না করে তাহলে গ্রামবাসীরা এইসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামবে।