শস্য গোলায় দানার হানা, ব্যাপক ক্ষতির মুখে আমন ও খাস ধান চাষ

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, খন্ডঘোষ: ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব গতকাল বিকাল থেকেই পড়তে শুরু করেছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই মেঘলা আকাশ ও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয়েছে গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে। আকাশে কালো মেঘ দেখেই কপালে চিন্তার ভাঁজ জেলার কৃষকদের। মাঠ ভরা ধান, ক্ষেত ভরা সবজি ও বিভিন্ন ধরনের ফসলের উপর ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব কতটা পড়বে সেই  ক্ষতির আশঙ্কায় রাতের ঘুম উড়েছে কৃষকদের।

বিজ্ঞাপন

পূর্ব বর্ধমান জেলা বাংলার শস্যভাণ্ডার হিসেবেই পরিচিত। জেলার দক্ষিণ দামোদর অর্থাৎ খন্ডঘোষ, রায়না, মাধবডিহি, জামালপুর এলাকায় এই সময় আমন আর সুগন্ধি ধানে  সবুজ হয়ে আছে বিস্তীর্ণ কৃষি জমি। প্রায় ৩ লক্ষ ৮১ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়। আর এই বিপুল পরিমাণ ধান চাষের ওপর কার্যত অসময়ে থাবা বসিয়েছে “দানা”। এ যেনো পাকা ধানে মই দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

বুধবার রাত্রি থেকেই শুরু হয়েছে হাল্কা বৃষ্টি সাথে ঝোড়ো হাওয়া। শুক্রবার সকাল হতেই বেড়েছে বৃষ্টির পরিমান সাথে দমকা হাওয়া। আর তাতেই মহা বিপদের মুখে জেলার কৃষকরা। দক্ষিণ দামোদর এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকার ধান জমিতে গিয়ে দেখা যায় ঝড়ো হাওয়া আর বৃষ্টির কারণে বিঘার পর বিঘা জমির সুগন্ধি ধান গাছ নুইয়ে পড়েছে মাটিতে।

খন্ডঘোষের সগরাই অঞ্চলের পুড়িয়া এলাকার কৃষক শেখ কৌসের আলী বলেন, ‘ এলাকার ৮০শতাংশ খাস ধান জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এই এলাকার জমির জল শুকোতে অনেক সময় লাগে, ফলে ধান গাছের গোড়ায় জমা জল ফসল নষ্ট করে দেবে। এখনও বৃষ্টি কতটা হবে বোঝা যাচ্ছে না। তবে গত ২৪ ঘণ্টার লাগাতার বৃষ্টি এই এলাকার ধান চাষের ব্যাপক ক্ষতি করে দিয়েছে। আমরা খুবই দুশ্চিন্তার মধ্যেই রয়েছি।’

আরো পড়ুন