আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা! বর্ধমান জেলায় হটাৎ আসা বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুত প্রশিক্ষিত ‘আপদা মিত্ররা’

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: আবহাওয়ার সাম্প্রতিক খামখেয়ালিপনা বেশ চিন্তায় ফেলছে খোদ আবহাওয়া দপ্তর থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরকে। ঝড়, বৃষ্টি বা বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের যে আগাম খবর পাওয়ার জন্য অ্যাপ সরকারিভাবে ব্যবহৃত হয়, অনেক সময়ই সেই অ্যাপ থেকে কোন আগাম বার্তা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে হটাৎ করে আসা স্থানীয় স্তরে বিপর্যয় মোকাবিলা করতে ঘোর সমস্যা তৈরি হচ্ছে প্রশাসনিক ভাবে।

বিজ্ঞাপন

আর এই ধরনের আপৎকালীন সমস্যার মোকাবিলা করার জন্য পূর্ব বর্ধমান জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর ‘আপদা মিত্র’ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত রাখায় জোর দিয়েছে। ঝড় বা বিপর্যয়ের খবর এলেই পঞ্চায়েত বা পুরসভা স্তরে ‘আপদা মিত্র’ কর্মীদের কাজে লাগানো হচ্ছে। সামনেও বেশকয়েকটি ঝড় আসার সম্ভাবনার কথা আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে। সেই কারণেই নীচুতলায় থাকা কর্মীদের সতর্ক করে মানুষকে সচেতন করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু করেছে জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর।

সম্প্রতি মে মাসের শেষদিকে বর্ধমান শহর সহ সংলগ্ন এলাকায় কালবৈশাখীর ভয়াল তান্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বাসিন্দাদের দাবি ছিল, এই ধরনের ঝড় গত কয়েকবছরে দেখা যায় নি। প্রায় ৯০ কিলোমিটার গতিবেগে ঘন্টাখানেকের ঝড়ে বর্ধমানের একাধিক জায়গায় অজস্র গাছ ভেঙে পড়ে। শতাধিক বিদ্যুতের খুঁটি উপরে পড়ে বিদ্যুৎ পরিসেবা ব্যাপকভাবে ব্যহত হয়। দেওয়াল চাপা পড়ে, গাছ পড়ে মৃত্যু হয় কয়েকজনের। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রায় বেশ কয়েকদিন লেগে যায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলির। এরপরই ঝড় নিয়ে সতর্ক থাকছে জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর।

বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি যে ঝড় আসছে, সেই ঝড়ের আগাম কোন পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে না। হঠাৎ করে দুপুরের পর বা বিকালের দিকে ঝড়ের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। যে ঝড় হচ্ছে একেবারেই স্থানীয় স্তরে। অনেকসময় এই ধরনের বিপর্যয়ের পর মোকাবিলায় লোকবলের প্রয়োজন হয়ে পড়ছে দপ্তরের। আর এক্ষেত্রে ‘আপদা মিত্র’ কর্মীদের কাজে লাগানো হচ্ছে।

কিভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে ‘আপদা মিত্র’ কর্মীদের? জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরে অধীনে সম্প্রতি চারটি ধাপে জেলার ৭৫ জন মোট ৩০০ জন যুবককে বিপর্যয় মোকাবিলার ট্রেনিং দেওয়া হয়। ট্রেনিং শেষে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য জরুরি কিট। এই কর্মীরা ব্লক এবং পঞ্চায়েত স্তরে কাজ করছেন। এক আধিকারিক বলেন, জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরে অধীনে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এই কর্মীদের যুক্ত করা হয়েছে। ঝড়, বজ্রপাতের আগাম বার্তা এলেই জেলার আধিকারিকরা এই গ্রুপে শেয়ার করছেন। জেলার সর্বোচ্চ আধিকারিক থেকে আপদা মিত্র কর্মীদের মধ্যে পৌঁছে যাচ্ছে এই বার্তা। এরপরই কর্মীরা এলাকায় সাধারণ মানুষেকে সতর্ক করার কাজ করছে।

আরো পড়ুন