বর্ধমানে বাড়ির ভিতর থেকে শিশু কন্যাকে অপহরণের চেষ্টা, ধৃত ৩ মহিলা, চাঞ্চল্য

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: পরিবারের সদস্যদের নজর এড়িয়ে বাড়ির ভিতর থেকে তিন বছরের শিশু কন্যাকে তুলে নিয়ে পালানোর সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে গেল তিন শিশু অপহরণকারী মহিলা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান শহরের বিধানপল্লী ঘোষ পাড়া এলাকায়। এই ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবেশীরা ওই তিন মহিলাকে ধরে ফেলে মারধরের পাশাপাশি তাদের চুল কেটে দেয়। পরে বর্ধমান থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে ওই তিন মহিলাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। শিশুটির দাদুর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। শিশু অপহরণের অভিযোগে তিন মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বর্ধমান থানা সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃত তিন মহিলার নাম পূর্ণিমা মাল, আঙ্গুরা মাল ও রিনা মাল। সকলেরই বাড়ি মেমারি থানার নিমো মালপাড়া এলাকায়।

বিজ্ঞাপন

ওই নাবালিকা শিশু কন্যার মা (শম্পা দে) বলেন, ‘আমি তখন রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলাম। বাড়ির গেট বন্ধ করাই ছিল। বাইরের গেট খুলে ওই তিন মহিলা বাড়িতে ঢুকে আমার মেয়েটাকে তিনজন মিলে লুকিয়ে নিয়ে গেটের বাইরে চলে যায়। হঠাৎই আমার নজর পড়ায় আমি চিৎকার করে ছুটে এসে ওদের কাছ থেকে মেয়েটা কে ছিনিয়ে নি। ওরা তখন বলে রক্ষাকালী পুজোর জন্য সাহায্য নিতে এসেছে। এরপরই তাড়াতাড়ি চলে যায়। আমার শশুরমশাই বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরলে ঘটনার কথা জানাই। ততক্ষনে পাড়ার লোকেরাও জানাতে পেরে সবাই এক হয়ে পাড়ার স্কুল মাঠের কাছে ওই তিনজন কে ধরে ফেলে। ওদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহরায় বলেন, ‘ তিন জন মহিলা একটি শিশু কে অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছিল বলে অভিযোগ পেয়েছিল পুলিশ। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত মহিলাদের আটক করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।’ নাবালিকা শিশু কন্যার দাদু (মিলন দে) বলেন, ‘আমাদের বাড়ির একটা বাড়ির পরের বাড়িতেও একটি ছোট ছেলে রয়েছে। ওদের বাড়িতেও গিয়েছিল এই মহিলারা। পাড়ায় যাদের বাড়িতে বাচ্চা আছে তাদের বাড়িগুলোতেই ঘুরছিল এই মহিলারা। আমার বৌমা ঘরের কাজে ব্যস্ত ছিল, সেই সুযোগ আমার নাতনি কে নিয়ে পালাচ্ছিল ওরা। সঠিক সময়ে ধরা না পড়লে কি হতো ভেবে ভয় লাগছে।’

ধৃত রিনা মালের ছেলে রফিক মালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার মা রিনা মাল ও মাসি আঙ্গুরা মাল এদিন ভিক্ষা করতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। বর্ধমানের কোথাও লোকেরা চোর সন্দেহ করে ধরে মারধর করে। মাথার চুল কেটে দেয়। আমরা খুবই গরীব। বাবা নেই। মা ভিক্ষা করেই সংসার চালায়। আমার মা আর মাসি কে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। মেমারি থানাতেও আমরা বিষয়টি জানিয়েছি।

আরো পড়ুন