ক্রাইম

নির্মীয়মান বাড়ি থেকে জামালপুরে বস্তা ভর্তি বোম উদ্ধার, চাঞ্চল্য

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,জামালপুর: ছিল ধানকল, তা বন্ধ করে তৈরি হচ্ছিল বাড়ি। আর সেই নির্মীয়মান বাড়ির ভিতর থেকে শুক্রবার বিকেলে পুলিশ উদ্ধার করল বস্তা ভর্তি তাজা বোমা। কে বা কারা এই বোম ভর্তি বস্তা সেখানে মজুদ করেছিল তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার জ্যোৎশ্রীরাম অঞ্চলের অমরপুর গ্রামে। পাশাপাশি বোমা উদ্ধারের পরই তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে জামালপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মেহেমূদ খানের লোকজন অমরপুরের এই অস্থায়ী তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে বোমা রেখে গিয়েছিল বলে দাবি করেছেন ওই বাড়ির মালিক তথা বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর তৃণমূল নেতা হিরু শেখ ও তার সহযোগীরা।

জোৎশ্রীরাম অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কার্তিক ঘোষ বলেন,” দলীয় গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে দলের পুরনো কর্মীদের হেনস্তা করার জন্যই বোমা রাখা হয়েছে। জামালপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মেহমুদ খানের গোষ্ঠীর লোকজনই এখানে বোম রেখেছে আমাদের বদনাম করার জন্য। আমরা প্রদীপ পাল ও অরবিন্দ ভট্টাচার্যের সঙ্গে দল করি। তারা দলের পুরনো কর্মী। যারা এই বোম রেখেছে তারা বালি মাফিয়া। দলের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। ওদের এই সব কাজের সমর্থন না করতেই দলের পুরনো কর্মীদের এই অস্থায়ী পার্টি অফিস থেকে তাড়ানোর জন্য চক্রান্ত করছিল। পুলিশ তদন্ত করে আসল দোষীদের গ্রেপ্তার করুক।”

একই দাবী করেন জোৎশ্রীরাম পঞ্চায়েতের সদস্যা রেবা ধারা, পঞ্চায়েত সদস্য গোষ্ঠ পাল।তারা বলেন, “ব্লক সভাপতি মেহমুদ খানের অনুগামীরা এই ফাঁকা অস্থায়ী দলীয় কার্যালয়ে বোম রেখেছে। এখানে বাচ্চারাও খেলে। অঘটন কিছু ঘটে গেলে দায় পড়তো দলের এই পুরনো কর্মীদের উপর। এই চেষ্টায় ছিল ওরা।” বিজেপি নেতা রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম থেকেই গোষ্ঠী কোন্দল আছে। আর এতে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছে। নিজেদের মধ্যে বালির টাকার ভাগ নিয়ে অশান্তি করছে তৃণমূল নেতারা। তার ফল ভোগ করছে এলাকার বাসিন্দারা।”

রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন,
খোঁজ খবর নিয়ে বলতে পারবো। পুলিশ প্রশাসন তদন্ত শুরু করেছে। তবে এই ঘটনার পিছনে বিজেপির দুষ্কৃতীদের চক্রান্ত থাকতে পারে। তৃণমূলে কোন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই।” এই বিষয়ে জামালপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মেহমুদ খান বলেন, ” অমরপুর এলাকায় তৃণমূলের কোনো পার্টি অফিস নেই। যে ব্যক্তির বাড়ি থেকে বোম উদ্ধার করেছে পুলিশ ওই বাড়িতে বিজেপির কিছু লোকজন আসা যাওয়া করতো বলে শুনেছি। আর তাছাড়া ব্লকে এই মুহূর্তে দলের কোনো কমিটি নেই। তাই ওই অঞ্চলের কেউ দলের দায়িত্বেও নেই। নতুন কমিটি তৈরি হলে তখন সভাপতি ঘোষণা করা হবে। সুতরাং বোমা উদ্ধারের ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলে কোনো যোগ নেই। পুলিশ তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করুক।”

Recent Posts