ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বৈধ প্রবেশপত্র ছাড়াই ভারতে ঢুকে দিব্যি বসবাস ও কাজকর্ম করে যাচ্ছিল এক বাংলাদেশি যুবক। বর্ধমান থানার পুলিশ সোমবার সন্ধ্যায় শহরের বাজেপ্রতাপুর মালিরবাগান এলাকা থেকে রাজু আহমেদ নাম এক বাংলাদেশি ব্যক্তিকে আটক করে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তি তার বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার কোন বৈধ পাসপোর্ট কিংবা ভিসা দেখাতে পারেনি। এরপরই ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

একইসাথে সুদীপ কুমার দাস (ওরফে বাপন) যিনি রাজু আহমেদ কে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করতে সাহায্য করেছিলেন, এবং শেখ মাজেদ রহমান যিনি রাজু আহমেদের অবৈধ অনুপ্রবেশের বিষয় জেনেও তাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন – পুলিশ এই দুই ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করেছে। এই ঘটনায় ফরেনারস অ্যাক্ট ১৪এ/১৪সি এবং বি.এন.এস ২৪৯ ধারায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার ধৃত তিন জনকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের স্বার্থে ধৃতদের ৭দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দশ দিন ধরে রাজু আহমেদ বর্ধমানের মালিরবাগান এলাকার শেখ মাজেদ রহমান নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে থাকছিল। তার কাছে এই দেশে থাকার কোন বৈধ অনুমতির কাগজপত্র ছিল না। রাজু আহমেদের (৩২) বাড়ি বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানার কামালদিগরা এলাকার কুরসাপুর অঞ্চলে। তাকে এদেশে প্রবেশ করতে সাহায্য করেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের চাঁদপাড়া এলাকার সুদীপ কুমার দাস @ বাপন (৩৭)।
অন্যদিকে টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী কে আশ্রয় দিয়েছিল বর্ধমান শহরের বাজেপ্রতাপুর মালিরবাগান এলাকার বাসিন্দা শেখ মাজেদ রহমান বলে পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ধৃত সুদীপ কুমার দাস বাংলাদেশি এজেন্টদের সঙ্গে যোগযোগ রাখতো। অন্যদিকে শেখ মাজেদ রহমান এই সমস্ত বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের টাকার বিনিময়ে আশ্রয় দিত। পুলিশ ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করবে বলে জানিয়েছে।