ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,আউসগ্রাম: কয়লা, বালি, পাথর, লোহার পর এবার মোরাম মাফিয়ারাজের হদিস পূর্ব বর্ধমান জেলায়। সবুজ ঘেরা জঙ্গলের ভিতর বিঘের পর বিঘে জমির প্রায় ৫০ থেকে ১০০ফুট নিচ পর্যন্ত মোড়াম মাটি কেটে দিনের পর দিন পাচার করে চলেছে একদল মাফিয়া। পূর্ব বর্ধমান জেলার আউসগ্রাম থানার অধীনে ভাল্কি এলাকায় জঙ্গলে এই মোরাম কেটে নেওয়ায় কার্যত পরিবেশের ভারসাম্যই বিপন্ন হতে বসেছে। বিশাল বিশাল এলাকা জুড়ে জঙ্গলের মধ্যে তৈরি হয়েছে মরণফাঁদ।
স্থানীয় বসবাসকারী মানুষের একাংশের অভিযোগ, এইসমস্ত এলাকায় কার্যত পরিবার নিয়ে প্রাণ হাতে করে বেঁচে থাকতে হচ্ছে তাদের। সম্প্রতি কোটা এলাকায় এমনই মোরাম খাদানে পড়ে গিয়ে একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আউসগ্রাম এলাকার এক প্রভাবশালী ব্যক্তির প্রত্যক্ষ মদতেই চলছে এই মোড়াম মাফিয়ারাজ বলে দাবি করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী দের একাংশ। অভিযোগ, জঙ্গলের ভিতর হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলে সেখানকার মাটি সমতল করে বড় বড় মেশিন নামিয়ে মাসের পর মাস অবাধে কেটে ফেলা হচ্ছে মোরাম সহ মাটি। পড়ে সেই মোরাম ডাম্পার, ট্রাক্টরে করে পাচার করে দিচ্ছে মাফিয়ারা। কোটি কোটি টাকার রাজস্ব লুট করে নিচ্ছে এই মোরাম মাফিয়ারা।
প্রায় ৫০ থেকে ১০০ফুট গভীর হয়ে যাচ্ছে বিঘে পর বিঘে জঙ্গল এলাকা। মানকর থেকে ভাল্কী মাচান যাওয়ার রাস্তায় জঙ্গলের মধ্যেই এই ধরনের বিশাল বিশাল খাদ সহজেই নজরে আসছে। যেখানে এই অবৈধ মাটি কাটা হচ্ছে দিনের পর দিন, সেই জায়গা থেকে কয়েকশো মিটারের মধ্যেই রয়েছে বন বিভাগের দপ্তর। কিন্তু অদৃশ্য কারণে প্রশাসনের নজরেই আসে না এইসব বেআইনি কর্মকান্ড।
স্থানীয় এলাকাবাসীদের অভিযোগ, শাসক দলের এক প্রভাবশালী নেতার অঙ্গুলি হেলনেই চলছে এই বেআইনি কারবার। রীতিমত ‘ সেটিং ‘ রয়েছে পুলিশ ও প্রশাসনের একাংশের সঙ্গে। স্থানীয় বাসিন্দা বালু মান্ডি এই বেআইনি জঙ্গল কেটে সাফ করে দেওয়ার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, অবিলম্বে প্রশাসন এই অন্যায় বন্ধ করুক। না হলে আদিবাসী সমাজ তাদের অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে।