ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: পঞ্চায়েত ভোটের ফল ঘোষণার সাতদিন পার হয়ে গেছে। আর তার পরেও বিরোধী দলের জয়ী প্রার্থীরা দিকে দিকে যোগদান করছে তৃণমূল কংগ্রেসে। মঙ্গলবার বর্ধমান ২ ব্লকের গোবিন্দপুর পঞ্চায়েতের মোহিপাল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী লতা হাঁসদা তৃণমূলে যোগদান করেন। মূলত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ণ দেখেই তৃনমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে জয়ী প্রার্থী লতা হাঁসদা। বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ মালিক ও ব্লক সভাপতি পরমেশ্বর কোনারের হাত ধরে এদিন তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন। এদিকে ভোটের এতদিন পরেও বিজেপি ছেড়ে জয়ী প্রার্থীর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ঘটনায় ঘোর চিন্তায় পড়েছে জেলার গেরুয়া শিবির।
প্রসঙ্গত ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই বিরোধীদল গুলি থেকে তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক দেখা গিয়েছে। বিরোধীদলের অনেক জয়ী প্রার্থীও একে একে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। এই নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে ভয় দেখিয়ে প্রার্থীদের দলে যোগদান করানোর অভিযোগ তুলেছেন অনেক। কিন্তু, ভোটের ১০ দিন পরেও বিজেপির জয়ী প্রার্থীর তৃণমূলে যোগদান নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিজেদের জয়ী প্রার্থীদের ধরে রাখতে পারছে না কেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
জানাগিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মোহিপাল গ্রামের ১৬৮ বুথের প্রার্থী লতা হাঁসদা। পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল প্রার্থীকে ১২ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জিতেছেন তিনি। ভোটের ফলাফলের পর সার্টিফিকেটও নিয়েছেন। এরপরই তিনি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এদিন বর্ধমান ২ ব্লকের তৃণমূল কার্যালয়ে দলের উচ্চ নেতৃত্বের হাত থেকে তৃণমূলের দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে যোগদান করেন তিনি। লতা হাঁসদা জানান, ‘মানুষের জন্য কাজ করার স্বার্থে তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আদর্শে উন্নয়ণের ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমার লক্ষ্য।’
বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশিত মালিক জানান,’ লতা হাঁসদা আগে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কোনও কারণে পথভ্রষ্ট হয়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন। এবছর বিজেপির হয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। ভোটের পর থেকেই তিনি তৃণমূলের যোগদান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। এদিন তাঁকে দলে যোগদান করানো হয়। ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরে এসেছে। এটাই আমাদের কাছে বড় প্রাপ্তি।’