ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, মেমারি: সংগঠিত ভাবে এক ব্যক্তিকে খুনের ঘটনার প্রায় ১৩ বছর পর ৯ জন অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন বর্ধমান আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত (পঞ্চম) এর বিচারক। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার শেষে আজ অর্থাৎ সোমবার মহামান্য আদালত মোহন পণ্ডিত ও পাঁচজন মহিলা সহ মোট ৯ জন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর, পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি থানার অন্তর্গত করন্দা গ্রামে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। মিথ্যা সন্দেহের বশবর্তী হয়ে মোহন পণ্ডিত এবং অন্যান্য লোকজন মিলে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা ভূতনাথ মালিক (পিতা: শিবু মালিক)-কে যুবক সংঘের মাঠে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে প্রচণ্ড মারধর করে। মারধরের ফলে গুরুতর আহত অবস্থায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ভূতনাথ মালিকের।
এমনকি মৃতদেহ আনতে গেলে পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেওয়া হয় এবং বাধা সৃষ্টি করা হয় বলেও অভিযোগ ছিলো। পরবর্তীতে মেমারি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভূতনাথ মালিকের মৃতদেহ উদ্ধার করে। পাশাপাশি দোষীদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। মেমারি থানার তৎকালীন এস. আই. মহম্মদ সফিউদ্দিনকে ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়। পুলিশ এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পেশ করে। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার শেষে আজ আদালতে বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন। মামলায় সরকারি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অজয় দে।