বিজেপির কিষান মোর্চার বর্ধমান জেলা সভাপতির পদত্যাগ, আলোড়ন

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, বর্ধমান: ফের বিজেপির বর্ধমান সাংগঠনিক জেলা কমিটিতে ধ্বস। জেলা নেতৃত্বের নীতি আদর্শের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে তিরস্কৃত জেলা কিষান মোর্চার সভাপতি বিমান রায়। জেলা বিজেপির দলীয় সূত্রে খবর, ক্ষুব্ধ বিমানবাবু ইতিমধ্যেই সভাপতির পদ ছাড়ার পাশাপাশি দলের সমস্ত হোয়াটস্যাপ গ্রুপ থেকেও বেড়িয়ে গিয়েছেন। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার পুরনো কর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি জেলা জুড়েও বিজেপির অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এহেন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে বিমান রায় বলেন, ‘পঞ্চ নিষ্ঠা আদর্শের কথা জেনেই বিজেপি দলটা করতে এসেছিলাম একদিন। এখন দলটা নীতি ভ্রষ্ট হয়ে গিয়েছে। দলের অধিকাংশ নেতা, কর্মী দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে। দুর্নীতি থেকে তৃণমূল তোষণ এখন পার্টির ধ্যানজ্ঞান। কোন ভুল পদক্ষেপ নিয়ে কেউ দলের অন্দরে প্রতিবাদ করলে বিরোধিতা করা হচ্ছে তার। পদাধিকারীদের মতামত গ্রাহ্যই করছে না দল। এদিনও একই ঘটনা ঘটেছে। দলের সাংগঠনিক সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলেছি এই বিষয়ে। উনি সব শুনে আমাকে হোয়াটস্যাপ গ্রুপ থেকে বেড়িয়ে যেতে বলেন। আমি তাই শুধু কোন গ্রুপ নয়, এই দলটাই করা ছেড়ে দিলাম।’

বিজেপি সূত্রের খবর বুধবার বর্ধমান জেলায় দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করতে এসেছিলেন রাজ্যের সাংগঠনিক সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী। সেখানেই বাক বিতন্ডা শুরু হয়। বৈঠকে দলের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন বিমান রায়। বিজেপির দীর্ঘদিনের পুরানো কর্মী ও ভারতীয় জনতা মজদুর মোর্চার বর্ধমান উত্তরের সভাপতি কেশবচন্দ্র কোনার বলেন, ‘বিমান রায়ের কি সমস্যা সেটা আমি জানিনা। তবে উনি যেটা বলেছেন দলের তৃণমূল তোষণ ও পুরানো কর্মীদের গুরুত্ব না দেওয়া এ বিষয়ে আমিও সহমত। আমরা যারা দিনের পর দিন সিপিএম ও তৃণমূলের হাতে মার খেয়ে, কেস খেয়ে বাড়ি ছেড়ে দলটা করে এসেছি, সেই তারাই আজ দলের কাছে ব্রাত্য হয়ে গেছি। এটা রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বের এবারে ভাবার সময় এসেছে। অন্তত ২০২২ এর নির্বাচনের ফল দেখার পরে।’

বিজেপির বর্ধমান সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতি শ্যামল রায় বলেন,” এটা সম্পূর্ণ দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। দল করতে গেলে মাঝে মধ্যেই নেতৃত্বের সঙ্গে মতপার্থক্য সৃষ্টি হয় সংগঠনের দায়িত্বে থাকা নেতা নেত্রীদের। বিমান বাবুর ক্ষেত্রেও এই ধরনের কিছু ঘটেছে। উনি হটকারিতায় সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু লিখে দিয়েছেন বলে শুনেছি। তবে জেলা নেতৃত্ব ওনার সঙ্গে পরবর্তীতে কথা বলে সমস্যার সমাধান করবেন বলেই আশা রাখি। বিমান বাবু দলের পুরনো কর্মী, সুতরাং উনিও এব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন।”

আরো পড়ুন