ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: শনিবার সাড়ম্বরে উদ্বোধন হল বর্ধমান পুরসভা আয়োজিত ” বর্ধমান পৌর উৎসব ২০২৩”। এবছর উৎসবের থিম ‘ ইতিহাসের বর্ধমান, উন্নয়নে বাড়ছে মান’। উদ্বোধন করলেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিষ বন্দোপাধ্যায়। এদিন বিকেলে শহরের রাজপথ দিয়ে বিশাল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা উৎসব ময়দান প্রাঙ্গণে পৌঁছায়। প্রতিবছরের মতোই এবারেও উৎসব মঞ্চে স্থানীয় শিল্পীদের সমবেত সঙ্গীত ও নৃত্যের মাধ্যমে উৎসবের সূচনা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুরাতনি সঙ্গীতের গায়ক শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়, বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। এছাড়া, রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার, বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, বর্ধমান উন্নয়ণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কাকলি গুপ্ত তা, জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি গার্গী নাহা সহ পৌরসভার কাউন্সিলর ও জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষরা।
আশিষ বন্দোপাধ্যায় এদিন তাঁর বক্তব্যে বলেন,’ যেকোন মেলা ও উৎসবের একটা আর্থসামাজিক গুরুত্ব রয়েছে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের অর্থনীতির আদান প্রদানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন এই ধরনের উৎসব বা মেলা। এইসবের মাধ্যমে সমাজের একটা বৃহৎ অংশের মানুষের রোজগারের সুযোগ তৈরি হয়। বর্ধমান পুরসভার উদ্যোগে এই উৎসবের একটা আলাদা নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই ধরনের উৎসবের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক বাতাবরণ আরো সুন্দর করে যায়।’
মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন,” মেলা নিয়ে নিন্দুকেরা নানান মন্তব্য করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বিভিন্ন মেলার আয়োজনের মধ্যে দিয়ে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এরফলে অসংখ্য মানুষ রোজকারের পথ দেখছেন। মেলা হচ্ছে মিলন ক্ষেত্র। বর্ধমান পুরসভার উদ্যোগে এই উৎসবে মেলার পাশপাশি, সংস্কৃতি চর্চার আয়োজন রয়েছে। অসংখ্য স্থানীয় প্রতিভার পাশাপাশি অনেক গুণী শিল্পী এই মঞ্চে অনুষ্ঠান করবেন। এই ধরনের সংস্কৃতি চর্চা প্রয়োজন রয়েছে। সমাজের দরিদ্র থেকে বিত্তবান, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষ অনায়াসে ভেদাভেদ ভুলে এই ধরনের উৎসবে অংশ গ্রহন করেন।