বর্ধমান পুলিশের জালে আন্ত:রাজ্য প্রতারণা চক্রের ৮ দুষ্কৃতি, উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র, নকল কয়েন!

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়া এবং প্রাচীন নকল মুদ্রা নিয়ে প্রতারণা করার চেষ্টার অপরাধে বর্ধমান থানার পুলিশ আন্ত:রাজ্য প্রতারণা চক্রের একটি গ্যাং কে আগ্নেয়াস্ত্র সহ পাকড়াও করেছে। ধৃতদের কাছ থেকে পুলিশ একটি দেশি পাইপগান, এক রাউন্ড গুলি, ২টি ভোজালি (দৈর্ঘ্য প্রায় দেড় ফুট), ২টি লোহার রড (দৈর্ঘ্য প্রায় ৩ ফুট), ৩টি বাঁশের লাঠি (দৈর্ঘ্য প্রায় ৪ ফুট), একটি ধাতব মুদ্রার কয়েন যার ওজন আনুমানিক ১০ গ্রাম (তামার তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে) বাজেয়াপ্ত করেছে। ধৃতদের শুক্রবার বর্ধমান আদালতে পেশ করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে তিনজনের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

ডিএসপি ট্রাফিক-২ রাকেশ কুমার চৌধুরী এদিন বলেন,’ গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ১টা নাগাদ বর্ধমান থানার পুলিশ বর্ধমান-গুসকরা ২-বি জাতীয় সড়কে সাই কমপ্লেক্স এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮ জন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা জানিয়েছে তারা ডাকাতির উদ্দেশ্যে ওই এলাকায় জড়ো হয়েছিল। ধৃতদের কাছ থেকে একটি পাইপগান, গুলি ও অন্যান্য অস্ত্র সহ একটি তামা জাতীয় পদার্থের তৈরি কয়েন পাওয়া গেছে। 

অভিযান চলাকালীন ওই দুষ্কৃতী গ্যাংয়ের আরো ৬/৭ জন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, এই গ্যাংটি নকল প্রাচীন বস্তু (অ্যান্টিক) দেখিয়ে মানুষকে ঠকিয়ে মোটা টাকার প্রতারণার ছক সাজিয়েছিল। আমাদের কাছে এই দুষ্কৃতী দলের হদিস আসার পরই দ্রুত অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজন পালিয়ে গেলেও আমরা ৮জনকে ধরে ফেলি। এদের মধ্যে একজন মুম্বাইয়ের বাসিন্দা রয়েছে। বাকিরা বীরভূমের বোলপুর, মঙ্গলকোট ও শক্তিগড় এলাকার বাসিন্দা। তিনজন কে আমরা হেফাজতে নিতে চেয়ে শুক্রবার কোর্টে আবেদন জানিয়েছি। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পলাতক দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। তামা জাতীয় পদার্থের কয়েনের মতো দেখতে বস্তুটি আসলে কি তা জানতে সেটিকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।’

আরো পড়ুন