ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের লিখিত অভিযোগের তদন্তে নেমে সোমবার রাতে বর্ধমান থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইদিলপুর এলাকায় দামোদর নদের কাছ থেকে একটি অবৈধ বালি বোঝাই (৩০০ cft) ট্রাক আটক করেছে। পাশাপাশি বেআইনি ভাবে নদী থেকে বালি তুলে পাচার করার অভিযোগে একজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত ব্যক্তির নাম মুকেশ মাহাতো ওরফে ধনিয়া (২৬)। ধৃতের বাড়ি ইদিলপুরের আমবাগান এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযানের আঁচ পেয়েই আরো কয়েকজন পাচারকারী সেইসময় ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তবে মুকেশ মাহাতো কে ট্রাক থেকেই আটক করে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে রাজ্য মাইন্স এবং মিনারেল আইনের অধীনে অবৈধ খনন, পরিবহন ও মজুদের ধারায় মামলা রুজু করে মঙ্গলবার বর্ধমান আদালতে পেশ করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দামোদর নদের ধারে ইদিলপুরে দীর্ঘদিন ধরেই একটি চক্র অবৈধভাবে নদীর বালি চুরি করে পাচার করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ আসছিল। এখন সরকারিভাবে বর্ষাকালীন নদী থেকে বালি উত্তোলন বন্ধ। আর এরই মাঝে রাতের অন্ধকারে এক শ্রেণীর বালি মাফিয়ারা নদী বক্ষ থেকে বালি তুলে ট্রাক্টরে করে পাচার করে দিচ্ছে। ভূমি দপ্তরের পক্ষ থেকে এব্যাপারে অভিযোগ আসার পরই অভিযানে নামে বর্ধমান থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, এই এলাকায় একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে অবৈধ বালির কারবারে। এরপর লাগাতার অভিযান চালানো হবে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত বাকিদের ধরার জন্য।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইদিলপুর এলাকায় একাধিক অবৈধ বালি মজুদ রয়েছে। বালি মাফিয়াদের এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত লোকেরা সেই বেআইনি মজুদ বালি থেকেও বালি তুলে ট্রাক্টরে করে পাচার করছে বলে অভিযোগ। পুলিশ ধৃত মুকেশ মাহাতো কে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে এই চক্রের মূল পান্ডা মোহন চৌধুরী ওরফে বাচুয়া। ধৃত মুকেশ মাহাতো পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে, এই মোহন চৌধুরীর নির্দেশেই নদী থেকে বালি তুলে পাচার করা হতো। এই কাজে এলাকার অনেকই যুক্ত রয়েছে। এখন পুলিশ এই মোহন চৌধুরীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।