বর্ধমানে রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ব্যাঙ্কে চুরির চেষ্টা, চাঞ্চল্য, তদন্তে পুলিশ

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: রাতের অন্ধকারে বর্ধমান শহরের গোলাপবাগ এলাকায় ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের শাখায় চুরির চেষ্টার ঘটনায় সোমবার চাঞ্চল্য ছড়াল। রবিবার রাতের দিকে এই ঘটনা ঘটলেও এদিন সকালে ব্যাঙ্কের কর্মীরা ঘটনার সম্পর্কে জানতে পারেন। ব্যাঙ্কের পিছনের দিকে শৌচাগারের জানালার গ্রীল কেটে ভল্ট ভাঙার চেষ্টা করে কয়েকজন দুস্কৃতী বলে এদিন পুলিশ জানিয়েছে। গোটা বিষয়টি স্থানীয় রিজিউনাল অফিসে জানানোর পরে তাদের নির্দেশেই পুলিশ কে জানায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।বর্ধমান থানার পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে।

বিজ্ঞাপন

প্রাথমিকভাবে ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে একটি কম্পিউটার সহ সিসি ক্যামেরার ডিভিআর নিয়ে দুস্কৃতি দলটি পালিয়েছে বলেই পুলিশে অভিযোগ করা হয়েছে। ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোন টাকা দুষ্কৃতীরা নিয়ে যেতে পারেনি। পাশাপাশি ব্যঙ্কের ভল্টও সুরক্ষিত রয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। যদিও ব্যাঙ্কের ভিতরে থাকা বিপদ ঘন্টি বেজে ওঠায় চোরের দল পালিয়েছে বলে ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে সাইরেন বাজার আওয়াজ আশপাশ এলাকার কোন লোক শুনতে পায়নি বলেই পুলিশ জানতে পেরেছে।

তবে যেভাবে দুষ্কৃতীরা ব্যাঙ্কের পিছনের দিক দিয়ে ঝোঁপ জঙ্গল পেরিয়ে শৌচাগারের জানলার গ্রিল কেটে ভিতরে ঢুকেছিল তাতে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান দুষ্কৃতী দলের সদস্যরা রেইকি করেই এই প্রস্তুতি নিয়েছিল। তদন্তকারী পুলিশ অফিসারেরা সব দিক খতিয়ে দেখছে। পুলিশের তদন্তকারী দলের অফিসারদের প্রাথমিক অনুমান, এই কাজ স্থানীয় কোনো দুষ্কৃতী দলের কাজ নাও হতে পারে, এক্ষেত্রে বিহার বা ঝাড়খণ্ড এলাকার কোনো গ্যাং এই কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

জেলার পুলিশ সুপার কামনাশীস সেন বলেন, ‘ গোটা বর্ধমান শহর জুড়েই আমাদের নিরাপত্তা অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। ব্যাঙ্কের পিছনের দিকে যে অংশে লোক ঢুকেছে সেখানে পুলিশের পক্ষ দেখা সম্ভব ছিলো না। একটি কম্পিউটার আর সিসিটিভির ডিভিআর ছাড়া কিছু চুরি যায়নি। তবে আমরা স্থানীয়ভাবে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। দ্রুত এই গ্যাংটিকে পুলিশ ধরতে পারবে।’ তবে যে রাস্তার উপর এই ব্যাঙ্কে চুরির চেষ্টা করে রাতের মধ্যেই দুষ্কৃতীদের দলটি পালিয়ে গেছে সেই রাস্তায় সেইভাবে সিসি ক্যামেরার কোনো নজরদারি নেই। এই বিষয়টিও ইতিমধ্যেই ভাবিয়ে তুলেছে জেলা পুলিশের আধিকারিকদের। কারণ এর আগেও এই রাস্তায় একাধিক চুরি, ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটেছে।

আরো পড়ুন