---Advertisement---

সকালে ৫২টি মোবাইল ফোন সহ দুই ব্যক্তি কে গ্রেপ্তার করল জিআরপি, বিকেলে বর্ধমান স্টেশনে জিআরপির বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগে বিক্ষোভ ব্যবসায়ীদের

Souris Dey

Published

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: সোমবার সাত সকালেই বর্ধমান জিআরপি দুই ব্যক্তিকে ৫২টি মোবাইল সহ গ্রেপ্তার করেছিল। আর এদিন সন্ধ্যায় বর্ধমান স্টেশনে জিআরপি- র বিরুদ্ধে ‘ তোলাবাজির’ অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন বর্ধমান শহরের জেলখানা মোড় এলাকার একটি শপিং মলের ইলেকট্রনিকস দ্রব্যের একাধিক ব্যবসায়ী। জিআরপি সূত্রে জানা গেছে, ধৃত মহম্মদ মনিরুল ও আসরাফুল আলমের বাড়ি মালদার কালিয়াচকে। সোমবার ভোরে বর্ধমান স্টেশনের ২ ও ৩ নম্বর ফুট ওভারব্রীজের উপর মনিরুল ও আসরাফুলকে দু’টি ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন কর্তব্যরত জিআরপি কর্মীরা। সন্দেহ হওয়ায় তারা ২ জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তল্লাশিতে আসরাফুল কাছে থাকা ব্যাগ থেকে ৩০ টি ও মনিরুলের কাছে থাকা ব্যাগ থেকে ২২ টি বিভিন্ন কম্পানির মোট ৫২ টি মোবাইল উদ্ধার হয়। পরে উদ্ধার হওয়া মোবাইলগুলির প্রমাণসাপেক্ষে কাগজপত্র দেখতে চাইলে দেখাতে না পারায় জিআরপি তাদের গ্রেপ্তার করে।

বিজ্ঞাপন

বিকেলে বেশ কিছু ব্যবসায়ী রীতিমত বর্ধমান আর্কেড বন্ধ রেখে স্টেশন চত্বরে জমায়েত হন। দীর্ঘক্ষণ তারা জিআরপি থানার সামনে জিআরপি-র অফিসারদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। পরিস্থিতি একসময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম হলে জি আর পি বর্ধমান থানায় খবর দেয়। বর্ধমান থানার আইসি সহ পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। যদিও বিক্ষোভকারী ব্যবসায়ীদের একাংশ বর্ধমান থানার পুলিশের কাজে খুদ্ধ বলেই জানিয়েছেন।

ব্যবসায়ীদের দাবি, তাদের কাছে সব কাগজ আছে। মোবাইল ফোনের বক্সগুলি ফেলে দিয়ে মামলা সাজিয়েছে জিআরপি। এদের মধ্যে অন্যতম বিক্ষোভকারী শেখ আসিফ দাবি করেন, ‘তারা বৈধ কাগজপত্র সহ পুরনো মোবাইলের ব্যবসা করেন। জিআরপি এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে অন্যায়ভাবে তোলা আদায় করে তাদের কাছ থেকে। ইদানিং তোলার টাকা বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছিল। তারা তোলা দিতে অসম্মত হওয়ায় ক্ষমতার জোরে এইভাবে হয়রানি করা হচ্ছে তাদের। এতে তাদের ব্যবসার সমুহ ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।’

See also  বর্ধমান রেল স্টেশন থেকে ফের নাবালক উদ্ধার

অন্যদিকে যে দোকানে আসার পর ভিন জেলার দুই মোবাইল ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার হয়েছেন তারা আইন মেনেই কাজ করেন বলে জানিয়েছেন শেখ আসিফ। তিনি এও জানিয়েছেন, জিআরপির এক আধিকারিকের অনুরোধে মাসে মাসে টাকা দিতেন তিনি। আসিফের দাবি, কিছুদিন ধরে ব্যবসার হাল খারাপ হওয়ায় তিনি টাকা দেন নি। তারপরই এই ঘটনা ঘটায় তিনিও অবাক। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীরা জানান, তাদের জিআরপি র উপরে কোনো ভরসা নেই। তারা চান জেলা পুলিশ বা আদালত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক। এদিকে আদালত সূত্রে জানা গেছে, ধৃত দুজনের দু দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। যদিও এই অভিযোগ নিয়ে জিআরপি র তরফে  কোনোকিছুই জানানো হয় নি।

শেয়ার করুন 🤝🏻

Join WhatsApp

Join Now
---Advertisement---