ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,গলসি: ভারী গাড়ি চলাচলের অনুপযুক্ত কাঠের সেতু দিয়ে যাবার সময় সেতুর পাটাতন ভেঙে আটকে গেল ১৪ চাকার ধান বোঝাই লরি। রীতিমত বড়সড় বিপদের হাত থেকে বেঁচে গেছে চালক ও খালাসী। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে গলসি থানার পারাজে ডিভিসি সেচ ক্যানেলের উপর। দুর্ঘটনার পর ওই সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, কাঠের সেতুটি এতো ভারী গাড়ির ওজন বহন করার উপযুক্ত নয়, তবুও এই সেতু দিয়ে ভিন রাজ্যের ও স্থানীয় একাধিক ভারী গাড়ি ঝুঁকি নিয়েই প্রায়ই যাতায়াত করে। এদিন সেতুর কাঠের পাটাতনের কাঠ চাকার চাপে ভেঙে গিয়ে চাকা আটকে গেলেও, অল্পের জন্য গাড়িটি হেলে সেচ খালে পড়ে যায়নি। তাহলে মারাত্মক পরিণতি হতে পারত। অবিলম্বে এই সেতু দিয়ে ভারী যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া উচিত প্রশাসনের।
জানা গেছে, সেচ দপ্তরের অধীনে এই কাঠের সেতুটি নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যে ব্যক্তি এই সেতুটির দায়িত্বে ছিলেন নিয়ম অনুযায়ী গত প্রায় পাঁচ মাস আগে তার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই তারপর আর এই সেতুটির কোনো রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি। এরই মধ্যে বর্ষা শুরু হয়ে যাওয়ায় এই অস্থায়ী সেতুর পাশেই কংক্রিটের নতুন সেতুর কাজও শুরু করতে পারেনি প্রশাসন। ফলে সব ধরনের যানবাহন এই সেতুর উপর দিয়েই যাতায়াত করছিল। ফলে প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগও তুলছেন অনেকেই।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এদিনও ভিন রাজ্যের একটি ১৪চাকার লরি ধান নিয়ে সেতু পার করে স্থানীয় একটি রাইস মিলে ধান খালি করতে গিয়েছিল। কিন্তু কোন কারণে ধান খালি না হওয়ায় মাল সমেত গাড়িটি আবার পারাজের দিকে ফিরে আসছিল। আর সেই সময় ঘটে যায় বিপত্তি। কাঠের সেতুর পাটাতনের কাঠ ভেঙে গিয়ে লরির চাকা আটকে যায় সেতুর ফাঁকে। বরাত জোরে বেঁচে যায় গাড়ি সহ চালক ও খালাসী।
গলসি ১ব্লকের বিডিও দেবলীনা দাস বলেন,” নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই নতুন পাকা সেতুর কাজ শুরু করা হবে। এই কাজ আগেই শুরু করার পরিকল্পনা ছিল। বর্ষার কারণে কয়েক মাস থেমে যেতে হয়েছে। কাঠের সেতু দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। খুব শীঘ্রই নতুন সেতুর কাজ শুরু হয়ে যাবে। যতদিন না নতুন সেতু তৈরি হয়ে যাচ্ছে তার পাশেই আপাতত একটি অন্য সেতু তৈরি করে দেওয়া হবে।”