অনলাইনে টাকা রোজগারের টোপ দিয়ে প্রতারণা, বর্ধমানে গ্রেপ্তার এক ব্যক্তি

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: হোয়াটস অ্যাপে লিংক পাঠিয়ে টাকা রোজগারের টোপ দিয়ে প্রতারণা চালিয়ে আসার অভিযোগে বর্ধমান থানার পুলিশ শুক্রবার শহরের কালনাগেট এলাকার বাসিন্দা সৌমেন সোম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃত পেশায় একজন মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ বলে জানা গেছে। এই ডিজিটাল প্রতারণার ফাঁদে পড়ে টাকা খুইয়ে এক ব্যক্তি গত সপ্তাহে বর্ধমান থানার দ্বারস্থ হয়।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, এর আগেও একাধিক ব্যক্তি এই ডিজিট্যাল প্রতারণার বিষয়ে বর্ধমান থানায় অভিযোগ জানিয়েছিল। পুলিশ অভিযোগের তদন্তে নেমে সৌমেন সোম নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করে এই চক্রের সঙ্গে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা সেই তদন্তের স্বার্থে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানায়। বিচারক ধৃতের তিনদিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছেন।

বর্ধমান জেলা পুলিশের ডিএসপি ট্রাফিক ২ রাকেশ কুমার চৌধুরী জানান,” এই বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। অনলাইনে অবৈধ কারবার চালানোর অপরাধে পুলিশ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। এই কারবারের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা, কিভাবে এই প্রতারণা পরিচালনা করা হতো সেই বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। ধৃতের মোবাইল ফোন ও লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করেছে পুলিশ।”

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ সৌমেন সোম গত কয়েক মাস ধরে অনলাইন মাধ্যমে একটি প্রতারণা চক্র চালিয়ে আসছিলেন। সেখানে অতিরিক্ত আয়ের সুযোগ করে দেওয়ার নামে বিভিন্ন ব্যক্তিকে একটি লিংক পাঠানো হত। সেই লিংকে ক্লিক করার পর ওই ব্যক্তির কাছে তার আঁধার নম্বর ও অন্যান্য তথ্য (KYC) চাওয়া হত। সব তথ্য পূরণ করার পর ৬ হাজার টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি হিসেবে দিতে বলা হতো। পরবর্তীতে সেই ব্যক্তির ফোনে পাঠানো  প্রোফাইলটি সক্রিয় করে দেওয়া হতো। প্রতিদিন নির্দিষ্ট কিছু শর্তের মাধ্যমে দৈনিক ৩০০ টাকা করে জেতার সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়ে পুরো টাকাই হাতিয়ে নেওয়া হত বলে জানা গিয়েছে।

এছাড়াও, অন্য ব্যক্তিকেও লিংকটি পাঠিয়ে যুক্ত করার জন্য অফার দেওয়া হতো। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট রোজগার লাভের সুযোগ রয়েছে বলে জানাতো ধৃত ব্যক্তি। বেশ কয়েকমাস ধরে এই প্রতারণা চক্র চালিয়ে আসছিল ধৃত ব্যক্তি বলেই পুলিশ জনিয়েছে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত শুধু বর্ধমানেই শতাধিক ব্যক্তি এই লিংকের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। 

আরো পড়ুন