বর্ধমানে স্কুলে যাবার পথে রোমিওদের উৎপাত, পুলিশের দ্বারস্থ ছাত্রী সহ গোটা স্কুল

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: ছাত্রীদের স্কুলের সামনে হেলমেট পরে বাইক নিয়ে প্রতিদিন একদল যুবক দাঁড়িয়ে থাকছে। স্কুলে যাবার পথে কিংবা ছুটির পর ফেরার পথে তারা নানাভাবে উত্যক্ত করছে ছাত্রীদের। এমনকি ছাত্রীদের ওড়না ধরে টানাটানি করছে বেপরোয়া সেইসব হেলমেট পরিহিত রোমিওরা। ১১দিন আগে স্কুলের পক্ষ থেকে এই ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে বলে জানিয়ে লিখিত অভিযোগ বর্ধমান থানায় জানানোর পরেও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি।

একপ্রকার বাধ্য হয়েই বুধবার ছাত্রীদের অভিভাবক, খোদ ছাত্রীদের কয়েকজন ও স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ও সহ শিক্ষিকারা বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করে এই অবস্থার বিরুদ্ধে আশু ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। আবেদন জানিয়েছেন, অবিলম্বে ওই এলাকায় ছ জন সিভিক ভল্যান্টিয়ার কে পোস্টিং করার জন্যও।

বর্ধমান শহরের ২৭নং ওয়ার্ডের বাবুরবাগ ইন্দ্রপ্রস্থ এলাকায় রয়েছে নিবেদিতা কন্যা বিদ্যালয়। আর সেই স্কুলের কাছেই প্রতিদিন একদল যুবক স্কুলে আসার পথে ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ। প্রধান শিক্ষিকা স্বাগতা মন্ডল বলেন,” ছাত্রীরা স্কুলে আসতে ভয় পাচ্ছে। স্কুলে আসার রাস্তায় হেলমেট পরে কিছু বখাটে যুবক মেয়েদের নানা ভাবে প্রায়ই উত্যক্ত করছে। বর্ধমান থানায় এই বিষয়ে গত ৯জুলাই লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু এখনও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। স্থানীয় কাউন্সিলর কেও জানিয়েছি।

তিনি পুলিশের সঙ্গে এই সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন। এরই মধ্যে অভিভাবক দের সঙ্গে আমরা মিটিং করেছি। আর তারপরই বুধবার ফের বর্ধমান থানায় গিয়ে আই সির সঙ্গে দেখা করে বাস্তব পরিস্থিতি জানিয়ে এসেছি। উনি জানিয়েছেন, আগামীকাল থেকেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কাউন্সিলার শেখ বসিরুদ্দিনও জানিয়েছেন, এলাকার ছেলেরা কাল থেকেই স্কুলের আশপাশে নজর রাখবে। তারপর দেখছি কে কত বড় মস্তান হয়েছে।”

এদিন থানায় আসা এক ছাত্রী বলে, ‘কয়েকদিন আগে ছুটির সময়ে একজন এসে আমার ওড়না টেনে ধরে হ্যাচকা টান মারল। কিছু নোংরা কথা বলে পালিয়ে গেল। বাইকের নম্বরও ছিলনা।’ জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘আমরা সাদা পোষাকের একটি মহিলা পুলিশের টিম ওই এলাকায় টহলদারির জন্য রাখব। এলাকার সিসি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হবে। ভবিষ্যতে এই ঘটনা আর যাতে না ঘটে তার সব ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। যদিও অভিযোগ জানানোর পর ১১দিন কেটে গেলেও পড়ুয়াদের সমস্যার কথা ভেবে কেন এখনও পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি তা নিয়ে অভিভবকদের মধ্যে বিস্তর ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।