ক্রাইম

এ যেন হিন্দি সিনেমার শ্যুটিং! বর্ধমান জেলা আদালত চত্বর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ পাকড়াও দুষ্কৃতী, আতঙ্ক

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: রীতিমতো ফিল্মি কায়দায় বর্ধমান আদালত চত্বর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক যুবককে পাকড়াও করলো পুলিস। ঘটনার সময় শুক্রবার বিকেল চারটে। আদালত চত্বরে ঠাসা ভিড়। সেই সময় টাউন স্কুলের গেটের দিকে জিআরও অফিসের পিছনে রাস্তায় এক যুবকের সঙ্গে কয়েকজনের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। অনেকেই মারপিট বলে ছাড়াতে যান। সেই সময় একজন নিজেকে পুলিস কর্মী বলে পরিচয় দেন। যুবককে তিনি কোমড় জাপটে ধরেন।

ওই যুবক নিজের প্যান্টের পকেটে হাত ভরে কিছু বার করতে যায়। যুবকের পকেটে আগ্নেয়াস্ত্র আছে বলে চিৎকার শুরু করেন ওই পুলিস কর্মী। চারপাশ থেকে আরও কয়েকজন সাদা পোশাকের পুলিস যুবকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। কেউ যুবকের হাত ধরেন, কেউ ধরেন পা। এক দুঁদে অফিসার চোখে আঙুল ভরে যুবককে কব্জা করেন। বহু কষ্ট করেও যুবকের পকেট থেকে হাত বের করতে পারছিলেন না পুলিস কর্মীরা। শেষমেশ অবশ্য বিস্তর টানাটানির পর যুবককে কব্জা করতে সক্ষম হন পুলিস কর্মীরা। তাকে বাগে এনে পুলিসের গাড়িতে তোলা হয়। পুরো দৃশ্য দেখতে ভিড় জমে যায় সেখানে। রাস্তার পাশেও বহু মানুষ দাঁড়িয়ে পড়েন। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় আইনজীবী মহলে। আদালতের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন আইনজীবীরা।

 

এই ঘটনার পর আইনজীবীরা বিষয়টি জেলা জজকে জানান। দ্বিতীয় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারকের নজরেও বিষয়টি আনেন কেসের সরকারি আইনজীবী উদয় শংকর কোনার। দ্বিতীয় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক অরবিন্দ মিশ্র আদালতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে জিআরও-র সঙ্গে আলোচনা করেন। আদালতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা উচিত বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।

বর্ধমান আদালতে বর্তমানে রাজু ঝাকে খুন সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার বিচার চলছে।আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবারই দ্বিতীয় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে একটি ডাকাতির মামলার শুনানি ছিল। সেই মামলায় ৪ জন অভিযুক্ত। অন্য একটি মামলায় তাদের দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। সেই মামলার শুনানিতে সাজাপ্রাপ্তদের নাম অজয় দাস, রীতেশ কুমার রাম, সঞ্জিত কুমার বিন্দ ও রঞ্জিৎ কুমার বিন্দ। যে মামলায় শুনানি চলছে তাতে আরও একজন অভিযুক্ত রয়েছে। সেই চারজনের সঙ্গে আদালতের লকআপে দেখা করার জন্য ওই যুবক এসেছিল বলে অনুমান আইনজীবীদের একাংশের।