বর্ধমানে সাংবাদিক ও তার পরিবারের উপর প্রাণঘাতী হামলা, গ্রেপ্তার দুই দুষ্কৃতী, অধরা মূল অভিযুক্ত

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বাড়িতে ঢুকে পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে বেধড়ক মারধরের পর প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগে বর্ধমান থানার পুলিশ মঙ্গলবার অর্থাৎ নবমীর রাতে বড়নীলপুর বাজার, নিবাস ময়দান এলাকা থেকে তন্ময় ঘোষ ও বাবাই নামে দুই দুষ্কৃতিকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত পরিমল ঘোষ সহ আরো বেশ কয়েকজনের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। বড়নীলপুর বাজার নিবাস ময়দান এলাকার বাসিন্দা পেশায় সাংবাদিক সন্তোষ দাস তাঁর এবং তাঁর পরিবারের সদস্য দের উপর একদল দুষ্কৃতী প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে বলে ইতিমধ্যেই বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

বিজ্ঞাপন

সন্তোষ দাস অভিযোগে জানিয়েছেন, গতকাল রাত্রে পাড়ার পুজো মণ্ডপে যখন তাঁর ভাই অন্যান্যদের সঙ্গে বসে ছিল, সেই সময় পাড়ারই বাসিন্দা তন্ময় ঘোষের সঙ্গে কিছু কথা কাটাকাটি হয়। এরপর তন্ময় ফোন করে পরিমল ঘোষ ও অন্যান্য দের ঝামেলার বিষয়টি জানায়। এরপর পরিমল আট দশজন জনকে নিয়ে এসে তার বাড়িতে রড,লাঠি, বাঁশ নিয়ে হামলা চালায়। সন্তোষ দাস জানিয়েছেন, ঘটনার শুরুর সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। খবর পেয়ে ছুটে আসেন। দুষ্কৃতীরা তার ভাইকে মারধরের পাশাপাশি তার স্ত্রী ও মাকেও মারধর করেছে। বাড়ির মেয়েদের চুলের মুঠি ধরে টানাটানি করেছে। দুষ্কৃতীরা যখন তাণ্ডব চালাচ্ছিল সেই সময় তিনি বাড়িতে এসে হামলাকারীদের বোঝাতে গেলে তাকেও পেটে, বুকে, মুখে ঘুষি মারে। দৌড়ে পাড়ার ক্লাবে গেলে দুষ্কৃতীরা ক্লাবেও ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এই সময় পাড়ার মহিলারা প্রতিবাদ করে এগিয়ে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।

সন্তোষ দাস বলেন,” কি কারণে তার ভাই, তাকে ও তার পরিবারের উপর প্রাণঘাতী হামলা চালানো হল তার বিচার চেয়ে বর্ধমান থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছি। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রাথমিক চিকিৎসা করানোর পর এখনও শহরের একটি নার্সিংহোমে আমি ও বাড়ির তিনজন ভর্তি রয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে। সামান্য কথা কাটাকাটি থেকে পরিমলের ঘোষ ও তার লোকজন যেভাবে মারধর চালিয়েছে এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে তার বিহিত চেয়ে পুলিশ কে জানিয়েছি।”

এলাকা সূত্রে জানা গেছে অভিযুক্ত পরিমল ঘোষ একজন দাগী অপরাধী। এর আগে একাধিকবার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। অবৈধ মদের কারবার, মাদক দ্রব্যের কারবার থেকে চুরি, ছিনতাই এর মত অপরাধের সঙ্গে যুক্ত এই ব্যক্তি।মাঝে মধ্যেই শাসক দলের মিছিল মিটিং এও এই দুষ্কৃতিকে দেখা যায় বলে অভিযোগ। এমনকি বর্ধমান থানার পুলিশ এর উপর হামলা চালানোর অভিযোগও ছিল এই পরিমল ঘোষের বিরুদ্ধে। স্থানীয় এলাকার মানুষও পরিমল ঘোষকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে ক্লাব ভাঙচুরের প্রতিবাদেও এলাকার মানুষ যৌথভাবে বর্ধমান থানায় অভিযোগ জমা করেছেন।

আরো পড়ুন