পূর্ব বর্ধমান জেলায় বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে, উদ্বিগ্ন প্রশাসন

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলায় বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার মোট সাতজন জন বজ্রপাতে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ২ জন ভাতারের এবং দুজন মঙ্গলকোটের। এছাড়াও কালনা, মন্তেশ্বর এবং খন্ডঘোষের একজন করে মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে রয়েছে মঙ্গলকোট থানার গোতিষ্ঠা গ্রামের বারো বছরের এক বালক। দু’দিনে আহত হয়েছেন মোট ৩ জন। এখনও পর্যন্ত জেলায় এই বছর বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা সাত হলেও বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা এই সময়কালের নিরিখে গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে বলেই বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের রিপোর্ট সূত্রে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছরের এপ্রিল মাস থেকে আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলায় বজ্রপাতের কারণে মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। অন্যান্য জেলার মধ্যে বাঁকুড়ায় ১৩ জন, বীরভূমে ১৫ জন, হুগলী ৬ জন, হাওড়া ৪ জন, মুর্শিদাবাদে ১১ জন, নদীয়া ৮ জন, উত্তর ২৪ পরগনা ৭ জন, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৮ জন, পূর্ব মেদিনীপুরে ৭ জন, পুরুলিয়ায় ১৮ জন, আলিপুরদুয়ারে ১ জন, কুচবিহারে ৯ জনের বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। ২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী, পূর্ব বর্ধমান জেলায় বজ্রপাতে মোট ৪৯ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। স্বাভাবিকভাবেই দুদিনে বজ্রপাতে সাত জনের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলা জুড়ে। এরই মধ্যে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়ে দিয়েছে আগামী বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় কালবৈশাখীর প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

পূর্ব বর্ধমান জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দফতরের আধিকারিক প্রতীক বন্দোপাধ্যায় জানান,” বেশিরভাগ ঘটনার ক্ষেত্রেই ফাঁকা মাঠে কৃষিকাজ করার সময় বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। জেলা প্রশাসন সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনা বৃদ্ধির জন্য প্রচার শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন, জেলায় প্রতিটি ব্লকে ব্যানার ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার চালানো হচ্ছে। সেখানে আবহাওয়া খারাপ থাকার পূর্বাভাস মিললে ফাঁকা স্থান পরিত্যাগ করা, খোলা আকাশের নিচে না থাকা, নিরাপদ আশ্রয়ে বা বাড়ির ভিতরে চলে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আগামী ২ মে, মুখ্যসচিব এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে জেলাগুলোর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করবেন, সেখান থেকে প্রাপ্ত নির্দেশগুলি ব্লক স্তরে প্রচার করা হবে।

আরো পড়ুন