প্রশাসনিক অভিযানই সার, খন্ডঘোষের কামালপুরের দামোদরে ফের শুরু দেদার বালি চুরি, এবার মেশিনের পরিবর্তে ব্যবহার হচ্ছে বেলচা

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,খন্ডঘোষ: বর্ধমান ১ব্লকের বংপুর মৌজায় দামোদর নদের মাঝখান থেকে বেআইনিভাবে জেসিবি মেশিন নামিয়ে বালি চুরি করে পাচার করছিল খন্ডঘোষ থানার কামালপুর এলাকার কিছু স্থানীয় বালি মাফিয়া। অভিযোগ ছিল বর্ধমানের দিক থেকে বালি চুরি করে খন্ডঘোষের কামালপুর দিয়ে শয়ে শয়ে ট্রাক্টর বালি পাচার করছিল মাফিয়ারা। সেই খবরের ভিত্তিতে তিনদিন আগে জোরদার অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন ও বর্ধমান থানার পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

ঘটনাস্থল থেকে দুটি জেসিবি মেশিন আটক করে নিয়ে যায় তারা। সেদিনের মতো বন্ধও হয়ে যায় অবৈধ বালি চুরি। অভিযানে গিয়েছিলেন এসডিএলআরও (উত্তর) রিংকু রাম, বর্ধমান ১ব্লক ভূমি আধিকারিক বিশ্বজিৎ ঘোষ, বর্ধমান ও খন্ডঘোষ থানার পুলিশ। রীতিমত হৈ চৈ পড়ে যায় এলাকায়। কিন্তু একদিন যেতে না যেতেই ফের শুরু হয়ে গেল বালি চুরি। এবার মেশিনের বদলে বেলচা দিয়ে নদী থেকে বালি তুলে ট্রাক্টরে লোড করে পাচার করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয় এলাকার কিছু বসবাসকারী। সেই একই জায়গা অর্থাৎ কামালপুর এর দিক থেকে নেমে বর্ধমানের ইদিলপুরের দিকে বংপুর মৌজা থেকে নদীর বালি চুরি করে পাচার করছে বালি মাফিয়ারা বলে অভিযোগ।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, খন্ডঘোষ থানার পুলিশ ও ব্লক ভূমি রাজস্ব দপ্তরের কাছে এই বেআইনি বালি চুরির খবর থাকলেও অজ্ঞাত কারণে বেপরোয়া বালি মাফিয়ারা। এদিকে এসডিএলআরও (উত্তর) রিংকু রাম কে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘ হ্যা, আমার কাছেও এই বালি চুরির খবর এসেছে। সোমবার এই ব্যাপারে পদক্ষেপ করা হবে। খন্ডঘোষ বিএলআরও কেও বিষয়টি জানানো হবে।’ অন্যদিকে খন্ডঘোষ ব্লক ভূমি আধিকারিক অরিন্দম বিশ্বাস কে এব্যাপারে ফোন করা হলে তিনি জানান, ‘ আমি ভোটের কাজে ব্যস্ত আছি। কামালপুরে কয়েকদিন আগে প্রশাসন এর আধিকারিকরা গিয়েছিলেন শুনেছি। তবে বালি চুরির বিষয়ে আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। আমার কাছে কোন খবর নেই। সংবাদ মাধ্যমের কাছে বিষয়টা জানতে পারলাম, খোঁজ নিয়ে দেখছি।’

এদিকে মাসের পর মাস কিভাবে দামোদর নদের এই অংশ থেকে বালি মাফিয়ারা লাগাতার বালি চুরি করে পাচার করে চলেছে তা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি গ্রামবাসীদের একাংশ। অনেকেরই অভিযোগ, পুলিশ ও প্রশাসনের মদত ছাড়া এইভাবে কারুর ক্ষমতা নেই অবৈধ বালি ঘাট চালাবে! সেটিং তো কিছু একটা আছেই, নাহলে চলছে কি করে! গ্রামবাসীদের অনেকেই জানিয়েছেন, পুলিশ প্রশাসনের লোকজন এসে দু দুটো মেশিন আটক করে নিয়ে গেলো, এলাকায় রীতিমত হল্লা হয়ে গেলো, তবুও তারপরদিন থেকেই আবার বালি চুরি শুরু হয়ে গেলো। এতো সাহস কি আর এমনি এমনি পাচ্ছে এরা? সন্দেহ তো থেকেই যাচ্ছে। এখন দেখার বিষয় সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব যারা চুরি করে চলেছে, এমনকি যাদের মদতে এই চুরি চলছে প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কে পদক্ষেপ করে।

আরো পড়ুন