ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: আজ বর্ধমান শহরের বিভিন্ন ভোট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের (Sikshanuragi United association) বর্ধমান জেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশন দেওয়ার জন্য সই সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট কর্মীদের সুরক্ষা, বিশেষত প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগের দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ চলে।
পূর্ব বর্ধমান জেলার সভাপতি তন্ময় চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান বিদ্যার্থী গার্লস স্কুলের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে এ প্রসঙ্গে জানালেন, আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী হাইকোর্টে একটি মামলা করেছেন। এই প্রথমবার রাজ্যে ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে এত গুরুত্ব সহকারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হল। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি SUA র দায়ের করা মামলার রায়ে সমস্ত ধরণের সুরক্ষা দেওয়ার কথা উল্লেখ করলেও নির্বাচন কমিশনের কোন সদিচ্ছা দেখা যাচ্ছে না।
বিগত নির্বাচনের রক্তাক্ত ইতিহাস ও মনোনয়ন পর্ব ঘিরে যেসব ঘটনা ঘটে চলেছে তাতে রাজ্য জুড়ে সমস্ত ভোটকর্মী আতঙ্কিত। এদিন বর্ধমান টাউন স্কুলের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখান সংগঠনের জেলা সম্পাদক সৌমেন্দ্র মোহন পাঁজা ও কোষাধ্যক্ষ সেখ ফারুক হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। প্রশিক্ষণ শেষে একটি প্রতিনিধি দল জেলাশাসকের দপ্তরে সমস্ত দাবিদাওয়া সম্বলিত ডেপুটেশন কপি জমা দিয়েছেন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে আগামী দিনেও তাঁরা আন্দোলনের পথে থাকবেন বলে জানিয়েছেন।
সুরক্ষার প্রশ্নে সমগ্র জেলার ভোটকর্মীদের পক্ষ থেকে শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চ (SUA) রাজ্য নির্বাচন কমিশন তথা DPEO এবং PRO – র কাছে যে সমস্ত দাবিগুলো রাখা হয়েছে সেগুলো হল – ১. রাজ্যের প্রতিটি বুথে CAPF (Central Armed Police Forces ) দিতে হবে সাম্প্রতিক কোর্টের অর্ডার অনুসারে। ২. ভোটকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য আদালতের নির্দেশ অনুসারে ( vide WPA (P) No. 250, 286,287 of 2023, dated 13/06/2028. clause – 74 / Calcutta High Court) কমিশন কি ধরণের SOP (standard operating procedure ) গ্রহণ করতে চলেছে তা জানাতে হবে। ৩. DC-RC’তে প্রতি কাউন্টারে ৬ টির বেশি বুথ রাখা চলবে না। ৪. পুলিশ ট্যাগিং প্রথা তুলে দিয়ে তাদের সরাসরি সংশ্লিষ্ট বুথে ট্যাগিং করতে হবে আগেই।