দুর্বল মণ্ডপের কাঠামো, বর্ধমানে আপাতত বন্ধ দুটি পুজোর প্রতিমা দর্শন

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: ষষ্ঠী, মহা সপ্তমী পার করে অষ্টমীর সন্ধ্যায় যখন পুজো মণ্ডপ গুলোতে মানুষের ঢল নামার কথা, ঠিক সেই সময় বর্ধমান শহরের দুটি বড় পুজোর মণ্ডপে ওঠার প্রবেশ পথ বিপদসংকুল বলে আপাতত দর্শনার্থীদের জন্য পুজো দেখা বন্ধ করে দিল প্রশাসন। সোমবার সকালে বর্ধমান থানার পুলিশ ও পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা শহরের সর্বমিলন সংঘ ও চৌরঙ্গী ক্লাবের মণ্ডপ পরিদর্শনের পর এমনই সিদ্ধান্তের কথা ওই দুই পুজো উদ্যোক্তাদের জানিয়ে দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত এই দুটো পুজোর মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে সুউচ্চ। সর্বমিলন সঙ্ঘের পুজোর এবারের থিম করা হয়েছে ‘আদি যোগী’। মাটি থেকে প্রায় ৭৫ফুট উঁচুতে উঠে প্রতিমা দর্শন করছেন দর্শনার্থীরা। অন্যদিকে চৌরঙ্গী ক্লাবের পুজোর এবারের থিম ‘ফিরে দেখা রক্তাক্ত কার্গিল’। এখানেও পাহাড়ের উপরে উঠে প্রতিমা দেখার আনন্দ উপভোগ করছেন দর্শনার্থীরা। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই দুই মণ্ডপ দেখতে ভিড় করছেন। কিন্তু এই দুটো  মণ্ডপেরই উপরে ওঠার জন্য মাটি থেকে বাঁশ ও লোহার যে কাঠামো তৈরি করা হয়েছে, সেই কাঠামো সেই অর্থে মজবুত নয়। এদিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিদর্শনের পর পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার এমনই মন্তব্য করেছেন।

আর এরপরই এই দুটি পুজোর ক্ষেত্রে আপাতত মণ্ডপের উপরে দর্শনার্থীদের ওঠা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সেক্ষেত্রে নিচ দিয়ে বিকল্প রাস্তা তৈরি করে প্রতিমা দর্শন করতে পারলেও যতক্ষণ না মণ্ডপে ওঠার কাঠামো আরো মজবুত করা হচ্ছে ততক্ষণ বন্ধ রাখতে হবে উপরে উঠে ঠাকুর দেখা। এদিন পরিদর্শনের সময় ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের ডিএসপি (ট্রাফিক-২) রাকেশ চৌধুরি। বর্ধমান থানার আই সি সুখময় চক্রবর্তী ও পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিয়ারগণ। উদ্যোক্তারা জানান, তাঁরা কাঠামো পোক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। তবে রাতে দ্বিতীয় দফার পরিদর্শনের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আদৌ আর দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবে কি না।

সর্বমিলন সঙ্ঘের সম্পাদক বিশ্বজিৎ মণ্ডল জানিয়েছেন, প্রশাসন পরিদর্শন করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। না হলে বড় বিপদ ঘটে যেতে পারতো। যেখানে ত্রুটি রয়েছে দ্রুততার সঙ্গে সেই সব জায়গা শক্তপোক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। তাঁদের আশা অষ্টমীর রাত বা নবমীর সকাল থেকে দর্শনার্থী ফের মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন।পুলিশের ডিএসপি (ট্রাফিক-২) রাকেশ চৌধুরি। তিনি বলেন, “এই মণ্ডপ দুটিতে আপাতত দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ রাখা হচ্ছে। উপরে না উঠে জমি দিয়ে দর্শনার্থীদের বিকল্প প্রবেশ পথ করে দিলে দর্শনার্থীরা ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন।”

আরো পড়ুন