বৃষ্টি কম, ঘাটতি মেটাতে ২৭জুলাই থেকে জল ছাড়বে ডিভিসি

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: বৃষ্টির ঘাটতি মেটাতে দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলায় খরিফ মরশুমে চাষের জন্য ডিভিসির জলাধার থেকে জল ছাড়া হবে। সোমবার বর্ধমানের সার্কিট হাউসে ডিভিশনাল কমিশনার বিজয় ভারতীর নেতৃত্বে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, হুগলি ও হাওড়া জেলার আধিকারিক, সেচ দফতর ও ডিভিসি কর্তৃপক্ষের আধিকারিকদের নিয়ে এই বিষয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। ডিভিশনাল কমিশনার জানান, বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। সেই কারণে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে সেচের জন্য জল দিতে সম্মত হয়েছে। আগামী ২৭ জুলাই থেকে তারা জল ছাড়বে। সাতদিনে মোট ৭৫ হাজার একর ফুট জল ছাড়বে তারা। তার পর সেচ দফতরের আধিকারিকরা পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।

বিজ্ঞাপন

জানা গিয়েছে, এই পাঁচ জেলায় ৮ লক্ষ ২০ একর জমিতে খরিফের চাষ হয়ে থাকে। তার মধ্যে শস্যগোলা পূর্ব বর্ধমানে ৫ লক্ষ ৭৭ হাজার একর জমিতে চাষ হয়। কৃষি দফতরের হিসেবে পূর্ব বর্ধমান জেলায় এই মরশুমে বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে ২৭ শতাংশ। যদিও আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী বৃষ্টির ঘাটতির পরিমাণ ৩৮ শতাংশ। বৃষ্টির ঘাটতির কারণে শস্যগোলায় আমন ধান চাষে বিঘ্ন ঘটছে। গত বছরে জুন ও জুলাই মাসে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১২৯.৯৫ মিমি ও ৩৪৪.২২ মিমি। এ বছর জুন ও জুলাই মাসে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ যথাক্রমে ১৮০.৭৯ মিমি ও ১৫৭.৯৩ মিমি। গত বছরের তুলনায় এখনো পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেকটাই কম।

ডিভিশনাল কমিশনার বিজয় ভারতী বলেন, ‘মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধারেও জল কম রয়েছে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায়। এই মুহূর্তে মাইথন জলাধারে জল আছে ৪৬১ ফুট এবং পাঞ্চেত জলাধারে রয়েছে ৪০০ ফুট জল। তবুও সেচের জন্য এবার ৭৫ হাজার একর ফুট ( এক একর ফুট জল ছাড়লে এক একর জায়গায় জলের উচ্চতা থাকে এক ফুট ) জল ছাড়তে সম্মত হয়েছে ডিভিসি। প্রাথমিক ভাবে সাত দিন জল ছাড়া হবে বলে ডিভিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে এই জল ছাড়ার সময় বাড়িয়ে ১০ দিনও করতে পারে তারা। সেটা নির্ভর করবে আগামী দিনে কতটা বৃষ্টিপাত হয় তার উপর।আগামী ২ আগস্ট ফের পর্যালোচনা বৈঠক করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’

যদিও এদিনের বৈঠকে আধিকারিকরা আশা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, চলতি মাসের শেষ দিকে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই বাড়তে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। সেক্ষেত্রে জলের ঘাটতি অনেকটাই কমে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, বিদায়ী কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইসমাইল, ‘ডেভলপমেন্ট কমিটি ফর ব্যারেজ অ্যান্ড ইরিগেশন সিসটেম’ এর সদস্য সচিব তথা সেচ দফতরের আধিকারিক শশী রাকেশ সহ পার্শ্ববর্তী চারটি জেলার আধিকারিকরা।

আরো পড়ুন