মিঠুন চক্রবর্তীর সভা ঘিরে জামালপুর ও বর্ধমানে চরম বিশৃঙ্খলা, পুলিশি হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণ

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,জামালপুর, বর্ধমান: মিঠুন চক্রবর্তীর সভা ঘিরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি পূর্ব বর্ধমানে। সদস্য সংগ্রহ অভিযানে বিজেপি কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে জামালপুরের সভা ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন বিজেপি নেতা। পরে বর্ধমানে বিজেপি কার্যালয়ে ঢুকতে গেলে তৃণমূল কর্মীদের স্লোগান পাল্টা স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে উঠলো পরিস্থিতি। অন্য রাস্তা দিয়ে মিঠুন চক্রবর্তীকে দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে আসতে হলো পুলিশ কে ।

বিজ্ঞাপন

সোমবার বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের পাঁচড়া এলাকায় সদস্য সংগ্রহ কর্মসুচীর আয়োজন করা হয়েছিল। এই কর্মসূচির পর বিজেপি কর্মীদের নিয়ে একটি সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত বিজেপি কর্মীরা নিজেদের মধ্যে বাক বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। মঞ্চ থেকে অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপি কর্মীদের মাইক হাতে বারবার সভা পরিচালনায় সহযোগিতা করার অনুরোধ করেন। এরপরেও অনুরোধ উপেক্ষা করে কর্মীরা নিজেদের মধ্যে অশান্তি করতে থাকেন। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কারণে মিঠুন চক্রবর্তী শেষমেষ সভা শেষ না করেই সেখান থেকে বেরিয়ে যান।

পরে বর্ধমানে বিজেপির সদর কার্যালয়ে আসেন মিঠুন চক্রবর্তী। সেখানে সেই সময় প্রতিবাদ মিছিলিরের জন্য জমায়েত করেছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে উদ্দেশ্য করে তারা দলীয় স্লোগান দিতে থাকেন। পাল্টা স্লোগান দেন বিজেপি কর্মীরাও। দুই দলের কর্মীদের স্লোগান পাল্টা স্লোগানে এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। বর্ধমান থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে বিজেপি নেতাকে অন্য রাস্তা দিয়ে বিজেপি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিজেপি কর্মীদের বিশৃঙ্খলা নিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী জানান,” বিজেপিতে কিছু কর্মীর দলের প্রতি ভালোবাসা কম, কিন্তু তাদের পাওয়ার ইচ্ছেটা বেশি দেখাচ্ছে। দলকে ভালোবেসে কাজ করছেন না। নিজেদের স্বার্থের জন্যেই তারা দলে এসেছেন। তাই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাড়ছে। এখন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বেশি প্রকাশ্যে আসছে। একজন কর্মীকে পদ বা দায়িত্ব দেওয়া হলে অন্য কর্মী তার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে।” যদিও বিজেপির অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আগের তুলনায় বেড়েছে মানতে নারাজ তিনি। তিনি বলেন, ” অনেক সমস্যাই হচ্ছে। তবে, এটা দলের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। দলের হয়ে কাজ করে পদের দাবি করা অন্যায় কিছু নয়। ধীরে ধীরে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।”

অন্যদিকে, রাজ্যের বাইরে থেকে নেতা নিয়ে এসে রাজ্যে বিজেপি পরিচালনার ক্ষেত্রে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন,” দিলীপ ঘোষ আমার থেকে অনেক বড় নেতা। উনি যা বলছেন নিশ্চয়ই সমস্ত কিছু ভেবেই বলছেন।” এই রাজ্য থেকে কাশ্মীরের জঙ্গী ধরা পড়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ” এটা তো আমাদের গর্ব। আমাদের রাজ্য থেকে জঙ্গি ধরা পড়ছে। ভোটার কার্ড, আধার কার্ড তৈরি হচ্ছে এখানেই। জঙ্গিরা এসে এখানে বসবাস করছে। এটা তো গর্বের বিষয়।” সদস্য সংগ্রহ অভিযানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, ” আমরা কর্মীদের উদ্ভুদ্ধ করার জন্য টার্গেট বাড়িয়েই বলি, ১২ বললে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকে ৭। সেক্ষেত্রে জেলার সদস্য সংগ্রহ অভিযান এখনও ঠিকঠাকই চলছে।”

আরো পড়ুন