ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,দেওয়ানদীঘি: বৃহস্পতিবারও ছিল মাধ্যমিকের ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষা। কিন্তু মেঘের ঘনঘটায় সকালেই রাতের অন্ধকার নেমে আসে পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রান্ত জুড়ে। কালো মেঘ দেখে কার্যত দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় বহু এলাকার পরীক্ষার্থীরা। কিভাবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাবে। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় বজ্র বিদ্যুৎ সহ তুমুল বৃষ্টি। কোথাও কোথাও আবার চলতে থাকে শিলা বৃষ্টি। আর এরই মাঝে আটকে পড়া পরীক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট সময়ের আগেই পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দিলো দেওয়ানদীঘি থানার পুলিশ।

দেওয়ানদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক শরিফুল শেখ জানিয়েছেন, হলদি দেপাড়া এলাকার কিছু মানুষ তাকে ফোন করে জানায়, প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টির কারণে পাঁচ জন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী তাদের পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে পারছে না। রাস্তায় কোন গাড়িও চলছে না। সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে না পারলে সমস্যায় পড়বে ছাত্ররা। যাতে তারা নির্বিঘ্নে পরীক্ষায় বসতে পারে তার উপযুক্ত ব্যবস্থা করার।
শরিফুল বাবু জানান, এরপরই মোবাইল অফিসার এসআই অলক চক্রবর্তী কে দ্রুত গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য জানানো হয়। তিনি কিছুক্ষণের মধ্যেই দেপাড়া পৌঁছে পাঁচ জন ছাত্র কে গাড়িতে তুলে ভাতারের কামারপাড়া বনপাস শিক্ষা নিকেতন হাইস্কুলের পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার শুরুর নির্দিষ্ট সময়ের আগেই পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। ছাত্ররাও গাড়ি থেকে নেমে পিতাসম পুলিশ আধিকারিককে প্রণাম করে পরীক্ষা হলের দিকে চলে যায়। পুলিশের এই তৎপরতা ও মানবিক কাজের ভুয়সী প্রশংসা করেছেন ছাত্রদের অভিভাবকরা থেকে হলদি দেপাড়া এলাকার সাধারণ মানুষ।