বর্ধমানে ছাত্রের রহস্য মৃত্যুতে তদন্তে এল ফরেনসিক টিম

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বর্ধমানের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের হোস্টেলের তিন তলার ওপর থেকে পড়ে ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে রবিবার ফরেনসিক দল আসলো। এদিন সকালে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের হোস্টেলে যায় ফরেনসিক দল ও বর্ধমান জেলা পুলিশ। যে বিল্ডিংয়ের উপর থেকে নিচে পড়ে মৃত্যু হয় এই কলেজেরই দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রর সেই আবাসন ঘুরে দেখেন তারা। পরে বিল্ডিং এর ওপরের বারান্দা থেকে বালিশের পুতুল ফেলে মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে পুনঃনির্মাণ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত দুদিন আগে শুক্রবার সকালে ওই আবাসনের তিন তলার ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় পাল্লারোডের বাসিন্দা সৌমেন মুর্মু নামে এক ছাত্রের। ছাত্রর পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ আনা হয়। হস্টেলের ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে তাকে খুন করা হয়েছে বলে মৃত ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন। যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক অনুমান, এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা। ওই ছাত্র আবাসনের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মৃত্যুর তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। যদিও সেদিন ঠিক কি ঘটেছিল তার কারণ অনুসন্ধানে রবিবার ফরেনসিক দলের সদস্যরা ঘটনার পুনঃনির্মাণ করেন বালিশ ফেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মেমারি থানার পাল্লা রোডের বাসিন্দা সৌমেন মুর্মু সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এই হস্টেলের প্রাক্তণ আবাসিক ছিলো সে। শুক্রবার সকালে সে হস্টেলে আসে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে। এর কিছুক্ষণ পরই তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হস্টেলের নীচে পরে থাকতে দেখে হোস্টেলের কয়েকজন আবাসিক ছাত্র। তার মাথায় ও চোখে রুমাল জড়ানো ছিলো বলে পুলিশ কে জানিয়েছেন হস্টেলের আবাসিক ও স্থানীয়রা। কি কারণে মৃত্যু তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। খুন না আত্মহত্যা- ঠিক কি কারণে মৃত্যু হল ছাত্রর তা ময়না তদন্তের রিপোর্টেই নিশ্চিতভাবে জানা যাবে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ।

আরো পড়ুন