ক্রাইম

জেলা জুড়ে পিএইচই পাম্প মেশিনের তামার কয়েল চুরি চক্রের চার দুষ্কৃতি গ্রেপ্তার মেমারি থেকে

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: জেলা জুড়ে পানীয় জল সরবরাহের পাম্প হাউসের ভিতর  পাম্প মেশিনের যন্ত্রাংশ থেকে তামার কয়েল চুরি চক্রের সঙ্গে যুক্ত চার দুষ্কৃতি কে গ্রেপ্তার করলো পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের একটি বিশেষ দল। শুক্রবার সন্ধ্যায় মেমারির ইছাপুর থেকে এক দুষ্কৃতি কে গ্রেপ্তার করার পর ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রাতে মেমারি থেকে আরো তিনজন দুষ্কৃতি কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে দুজন সরাসরি চুরির সঙ্গে যুক্ত এবং বাকি দুজন সেইসমস্ত চুরির সামগ্রী কিনে বিক্রি করতো বলে পুলিশ জানিয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে ইতিমধ্যে উদ্ধার হয়েছে কয়েক কেজি তামার কয়েল সহ চুরি করার জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি।

জেলা পুলিশের সদর দক্ষিণ মহকুমা আধিকারিক অভিষেক মন্ডল জানিয়েছেন, ’ ধৃতরা তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে। শনিবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করে তদন্তের স্বার্থে এই চক্রের সঙ্গে আরো কারা জড়িত এবং চুরি যাওয়া বাকি মালামাল উদ্ধারের জন্য ১৪দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। আদালত ৮দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছে। পরবর্তীতে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় পিএইচই পাম্প মেশিনের চুরি যাওয়া সামগ্রী উদ্ধারে তল্লাশি চালাবে পুলিশ।’ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তামার কয়েল প্রতি কেজি ৬৫০টাকা দরে বিক্রি হয়। পাম্প মেশিনে জল তোলার যে প্রেসার ভালভ রয়েছে তাতে ছ’টি কয়েল থাকে। ওজন প্রায় ১০ থেকে ১২কেজি।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত দুষ্কৃতীদের মধ্যে দুজনের বাড়ি খন্ডঘোষ থানার শাঁখারী এলাকায়। তাদের নাম সজল মন্ডল ও সোমনাথ বোস। এবং বাকি দুজনের নাম আফজল শেখ, বাড়ি মেমারি থানার ইছাপুর ও তফিজুল শেখ, বাড়ি মেমারি পুরসভার ১১নং ওয়ার্ড এলাকায়। এরা মূলত ভাঙাচোরা লোহা,  লক্কড় এর কারবারি। ধৃতদের মধ্যে সজল মন্ডলের বিরুদ্ধে এর আগে একাধিক জেলার বিভিন্ন থানায় ১৭টি চুরির মামলা রয়েছে। অন্যদিকে ধৃত সোমনাথ বোসের ৬টি চুরির মামলা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস থানা এলাকার একটি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর সজল মন্ডল এর জেল হেফাজত হয়। গত মাস দেড়েক আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে খন্ডঘোষ থেকে পালিয়ে মেমারি শহরের সারদাপল্লী এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছিলো। এরই মধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি, জামালপুর, রায়না, খন্ডঘোষ, গলসি, ভাতার ও আউসগ্রাম থানায় প্রায় ১০টি পাম্প মেশিন থেকে যন্ত্রাংশ ও তামার কয়েল চুরি অভিযোগ জমা পড়ে। জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে বেশ কয়েকটি থানার অফিসার, এসওজি টিম সহ স্পেশাল অফিসার দের নিয়ে একটি তদন্তকারী দল তৈরি করে এই চুরি চক্রে জড়িতদের ধরার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। এরপরই গতকাল অভিযান চালিয়ে মেমারি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় চার জন দুষ্কৃতিকে।

Recent Posts