বর্ধমানে আগ্নেয়াস্ত্র সহ চার ডাকাত গ্রেপ্তার

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: জাতীয় সড়কে ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়ার অপরাধে বর্ধমান থানার পুলিশ সোমবার ভোরে অভিযান চালিয়ে চার দুষ্কৃতী কে গ্রেপ্তার করেছে। পাশাপাশি ধৃতদের কাছে তল্লাশিতে একটি দেশী পাইপ গান, দু রাউন্ড গুলি, একটি লোহার রড, একটি ভোজালি ও একটি বাঁশের লাঠি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সোমবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে তিনজনের বাড়ি বর্ধমানের বেচারহাট, ক্যানেল বাঁধ এলাকায় এবং অন্য আরেক জনের বাড়ি রথতলা আমবাগান এলাকায়। ধৃতদের নাম বাপন সরকার, সুজিত দাস ওরফে রাজা, সুদীপ দাস এবং সঞ্জু ঘোষ ওরফে গিনি। এদের সকলের বয়স ২২থেকে ২৫বছরের মধ্যে।

বিজ্ঞাপন

জেলা পুলিশের ডিএসপি ট্রাফিক ২ রাকেশ কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, ধৃতরা তাদের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে। ধৃতদের এর আগেও হাইওয়েতে ক্রাইম করার একাধিক রেকর্ড রয়েছে। এমনকি ধৃতদের কাছে আরো আগ্নেয়াস্ত্র সহ অন্যায় অস্ত্র রয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। সেই সমস্ত অস্ত্র উদ্ধারে ধৃতরা সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ কে। আর তার জন্যই ধৃতদের সাত দিনের পুলিশি হেফাজত নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে আদালতে।

রাকেশ চৌধুরী জানিয়েছেন, বর্ধমান দুর্গাপুর ১৯নম্বর জাতীয় সড়কের বিভিন্ন এলাকায় গভীর রাত থেকে ভোর রাত পর্যন্ত একটা দুষ্কৃতীদের গ্যাং যানবাহন আটকে বেশ কিছুদিন ধরে ডাকাতি করছে বলে পুলিশের কাছে খবর ছিল। সেই অনুযায়ী বর্ধমান থানার পুলিশ এই গ্যাং টিকে ধরার জন্য সক্রিয় ভাবে কাজ করছিল। সোমবার ভোর প্রায় ৪টে নাগাদ গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে পুলিশ উল্লাস এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে একটি হোটেলের কাছে অভিযান চালিয়ে চারজন দুষ্কৃতিকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেপ্তার করে।

রাকেশ চৌধুরী জানিয়েছেন, মূলত রাতের অন্ধকারে জাতীয় সড়কের নির্জন এলাকার ধারে এই দুষ্কৃতীরা জড়ো হয়। এক বা দুইজন মহিলা কে রাস্তার উপর দাঁড় করিয়ে যানবাহনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করে। যদি কোন গাড়ি সেইসময় দাঁড়িয়ে পড়ে তখন এই দুষ্কৃতীরা সেই গাড়ির চালক বা খালাসীর কাছ থেকে টাকা, মালপত্র লুঠ করে চম্পট দেয়। অনেকক্ষেত্রে বাধা দিতে গেলে মারধর, এমনকি প্রাণঘাতী হামলা চালানোর ঘটনাও ঘটায় এই দুষ্কৃতীরা। বর্ধমান থানার পুলিশ এই গ্যাং টিকে পাকড়াও করার জন্য বেশ কিছুদিন ধরে চেষ্টা চালাচ্ছিল। এবার ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই গ্যাংয়ের সঙ্গে আরো কারা যুক্ত আছে এবং আরো অস্ত্র কোথায় লুকিয়ে রাখা আছে সেই ব্যাপারে তদন্ত শুরু করা হবে।

আরো পড়ুন