ইঞ্জিন ও জ্বালানি ছাড়াই রাস্তায় ছুটছে চারচাকা, কিভাবে দেখুন

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বাঁকুড়া: উত্তরোত্তর জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও পরিবেশে বায়ু দূষনের মাত্রা কমাতে এবার অভিনব এক চারচাকা গাড়ি তৈরি করে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন বাঁকুড়া শহরের কাটজুড়িডাঙ্গার বাসিন্দা, পেশায় ব্যবসায়ী মনোজিৎ মণ্ডল। যে গাড়িতে নেই কোনো ইঞ্জিন, এমনকি গাড়ি চালাতে লাগবে না কোনো জ্বালানি। শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবে সম্পূর্ন দেশীয় প্রযুক্তিতে এমনই একটি গাড়ি বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মনোজিৎ মণ্ডল।

বিজ্ঞাপন

 

তাহলে আস্ত একটা চারচাকা গাড়ি চলছে কিভাবে? এই প্রশ্নের উত্তরে মনোজিৎ বাবু জানিয়েছেন, কয়েকবছর আগে তিনি একটি টাটা ন্যানো গাড়ি কিনেছিলেন। গাড়িটির বয়স হয়ে যাওয়ায় তিনি পুরনো গাড়িটিকেই নতুন মোড়কে তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। এরই পাশাপাশি জ্বালানী তেলের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি, সঙ্গে বায়ু দূষণের মাত্রা দিনদিন বেড়ে চলার কারণে কিভাবে জ্বালানী তেলের ব্যবহার কমানো যায় এবং পরিবেশবান্ধব একটি যান তৈরি করা যায় সেব্যাপারে ভাবনাচিন্তা শুরু করেন। ছোটো থেকে অন্য কিছু করার ভাবনা থেকেই তাঁর গাড়ি তৈরীর ভাবনা বলে তিনি জানান। বেশ কয়েক বছর আগে সাইকেলে ব্যাটারি লাগিয়ে চলত সাইকেল। পরে তেল ছাড়াই ব্যাটারি চালিত মোটরসাইকেল তৈরি করেছিলেন তিনি।

আর এবার নিজের ন্যানো গাড়ির ইঞ্জিন খুলে ফেলে গাড়ির ছাদে বসিয়েছেন ‘সোলার প্যানেল’। গাড়ি চালানোর সুবিধার জন্য রাখা হয়েছে গিয়ার। তবে গাড়িতে কোন ক্লাচ নেই। ক্লাচ ছাড়াই গিয়ার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। রয়েছে ব্রেক ও এক্সিলারেটর। গাড়ির চার নম্বর গিয়ার ব্যবহার করে নিঃশব্দে ঘন্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে দৌড়াতে পারে মনোজিৎ মণ্ডলের এই অভিনব পরিবেশবান্ধব নতুন গাড়ি। মনোজিৎ মণ্ডল এপ্রসঙ্গে বলেন, তাঁর গাড়িতে বৈদ্যুতিক চার্জ দিলে প্রতি ১০০ কিলোমিটারে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা খরচ। তবে সোলার সিস্টেমে চার্জ দিলে কোন খরচ নেই। সঙ্গে অন্যান্য আনুসঙ্গিক খরচ নেই বললেই চলে।

বর্তমানে বাঁকুড়া জেলা জুড়ে দাপিয়া বেড়াচ্ছে এই সোলার চালিত চারচাকা গাড়িটি। তা দেখতে অনেকেই ছুটে আসছেন মনোজিৎ বাবুর দোকানে। মনোজিৎ বাবু জানিয়েছেন, কোন বাণিজ্যিক কোম্পানি বা সংস্থা যদি এগিয়ে আসে তাহলে এই পরিবেশবান্ধব গাড়ি অচিরেই দেশ জুড়ে মানুষের ঘরে ঘরে শোভা পাবে।

আরো পড়ুন