ক্রাইম

রাজ্য জুড়ে মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে প্রতারণা চক্রের হদিস, গ্রেপ্তার মা ও ছেলে, উদ্ধার বিপুল পরিমাণ সামগ্রী

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,জামালপুর: মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে ভুয়ো কোম্পানি খুলে রাজ্য জুড়ে প্রায় চার বছর ধরে প্রতারণা চালিয়ে আসছিল প্রতারকরা। সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানায় দায়ের হওয়া একটি প্রতারণার অভিযোগের তদন্তে নেমে পুলিশ বিপুল পরিমাণ সামগ্রী সহ দুই প্রতারক কে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা সম্পর্কে মা ও ছেলে। তাদের নাম বাবলি চক্রবর্তী ও শুভজিৎ চক্রবর্তী। গত ১৭ফেব্রুয়ারি উত্তর ২৪পরগনার মধ্যমগ্রাম এলাকা থেকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে জামালপুর থানার পুলিশ। ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তদন্তের সার্থে চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

সোমবার জামালপুর থানায় একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বর্ধমান দক্ষিণ মহুকুমা পুলিশ আধিকারিক সুপ্রভাত চক্রবর্তী বলেন,’ অভিযুক্তদের হেফাজতে পাওয়ার পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে খড়দার সোদপুর এলাকায় ‘পাস রিটেলস প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি’র নামে মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে ভুয়ো হেড অফিস সহ আরো তিনটি অফিসে অভিযান চালিয়ে প্রচুর সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি সব কটি অফিস সিল করে দেওয়া হয়েছে। লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার অভিযোগে উত্তর ২৪পরগনার মধ্যমগ্রাম থেকে এই চক্রের দুই মাথা বাবলি চক্রবর্তী ও শুভজিৎ চক্রবর্তী কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জামালপুরের বিষ্ণুবাটি এলাকার এক বাসিন্দা গত বছরের ১৩ নভেম্বর  থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে টাওয়ার বসানোর নাম করে আর্থিক প্রতারণার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে জামালপুর থানার পুলিশ চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি উত্তর ২৪পরগনার মধ্যমগ্রাম এলাকা থেকে বাবলি চক্রবর্তী ও শুভজিৎ চক্রবর্তী নামে মা ও ছেলেকে গ্রেফতার করে। পাশাপাশি খরদার সোদপুর এলাকার চারটি ভুয়ো অফিসে অভিযান চালিয়ে ১৭টা ল্যাপটপ, ১০টা চার্জার, ৪টি ডেক্সটপ, ২টি ট্যাব, ৭টি মোবাইল ফোন, ৫টি পেনড্রাইভ, ১৫টি সিম স্লট, ১টি ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার, ২টি হার্ডডিস্ক, ৫টি সিডি সহ প্রচুর পরিমাণে স্ট্যাম্প পেপার, ব্যাংক একাউন্ট ডিটেল রেজিস্টার ও রেজিস্টার বুক বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। 

এসডিপিও বলেন,’ অভিযুক্ত দের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আরো কারা জড়িত আছে তাদের বিবরণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সিল করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এই প্রতারকরা ঠিক কত জনের কাছ থেকে কত টাকা ভুল বুঝিয়ে প্রতারণা করেছে। গোটা ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে।’