নকল লটারির টিকিট দেখিয়ে টাকা আদায় করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল প্রতারক, উত্তেজনা রায়নায়

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,রায়না: ডিয়ার লটারির টিকিট হুবহু কালার জেরক্স করে লটারির দোকানে নিয়ে এসে প্রাইজ মানি দাবি করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে গেল প্রতারক এক যুবক। স্থানীয় লোকজন ওই যুবক কে আটকে রেখে পুলিশ কে খবর দিলে পুলিশ এসে ওই যুবককে ধরে থানায় নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ঘটনাটি ঘটেছে রায়না থানার মাছখান্ডা এলাকার খালের পুলের একটি লটারির দোকানে। যদিও এই ঘটনায় সন্ধ্যা পর্যন্ত লটারির দোকানের বা এজেন্সির পক্ষ থেকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনো লিখিত অভিযোগ রায়না থানায় করা হয়নি বলেই পুলিশ জানিয়েছে। অভিযোগ হলে ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ জানিয়েছে, লটারির টিকিট জাল করে সেই টিকিটের পুরস্কার বাবদ পাওনা টাকা নেবার জন্য এদিন দুপুরে এক যুবক খালেরপুল এলাকার একটি লটারির দোকানে আসে। দোকানদারের সন্দেহ হওয়ায় টিকিট টি পাশের আরেকটি দোকানে যাচাই করাতে গেলে ওই টিকিটটি যে নকল সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়। আর এরপরই অভিযুক্ত যুবককে আটকে রেখে স্থানীয়দের মাধ্যমে পুলিশ কে খবর দেওয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই যুবকের সঙ্গে আরো চার পাঁচ জনের একটি দল আছে। এদের বাড়ি উত্তর ২৪পরগনার অশোকনগর এলাকায়। নকল টিকিট সহ অভিযুক্ত যুবককে আটক করে রায়না থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

এদিকে যে এজেন্সির থেকে নিয়ে আসা টিকিটে পুরস্কার পড়েছে বর্ধমানের সেই এজেন্সির মালিক মুক্তার মিঞা এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন,’ দীর্ঘদিন ধরেই আসল টিকিট কালার জেরক্স করে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের লটারির দোকান মালিক দের ঠকিয়ে প্রতারণা চালিয়ে আসছে একটি দুষ্কৃতী দল। গত মাসেই বর্ধমান শহরের স্টেশনের কাছে আমার দোকান থেকে একইভাবে নকল টিকিট দেখিয়ে ৯০হাজার টাকা হাতিয়ে পালিয়েছে কিছু দুষ্কৃতী। এদিনও একইভাবে গত ৪জানুয়ারি তারিখের দশ সেমের একটি টিকিটে ৯হাজার টাকা প্রাইজ মানি চাইতে এসে বোকা বানানোর চেষ্টা করেছিল এই দলের লোকজন। ধরা পড়ে যায়।

অনেকসময় নকল টিকিট ধরা গেলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে আসল নকল বোঝা সমস্যা হয়ে যায় দোকানদারের। কারণ সবার কাছে টিকিট টি আসল না নকল বোঝার জন্য যে ইলেকট্রনিক ব্লু-রে দেওয়া মেশিন ব্যবহার করা হয় সেটি থাকেনা। ফলে তাৎক্ষণিক ভাবে বোকা বনে যায় দোকান মালিক। যদিও নকল টিকিটের কাগজের মান, রং ও অন্যান্য সরকারি চিন্হ আলাদা হয়। সেক্ষেত্রে অভিজ্ঞ দোকান মালিকরা অনেকসময় বুঝতে পারেন, আবার কখনো ধোঁকাও খেয়েও যায়। আমরা পুলিশ কে এই বিষয়ে অভিযোগ জানাচ্ছি।’

আরো পড়ুন