পরিবেশ

গাঙ্গেয় ডলফিন সংরক্ষণের উদ্যোগ বন দফতরের, চালু হতে চলেছে ‘ডলফিন মিত্র’ প্রকল্প

নিজস্ব সংবাদদাতা, বর্ধমান : সম্প্রতি কাটোয়ার গঙ্গায় একটি সন্তানসম্ভবা ডলফিনের মৃত্যু হয়েছে। বন দফতর সূত্রে জানা গেছে, ডলফিনটির কার্ডিও রেস্প্রিরেটরি ফেলিওর হওয়ার কারণে মারা গেছে। যদিও এই ঘটনায় মৎস্যজীবীদের জালে জড়িয়ে যাওয়া বা অন্য কোন কারণ ছিল না। তবে এই ঘটনার পরই রাজ্য বন বিভাগ অতি দ্রুততার সঙ্গে গাঙ্গেয় ডলফিন, ঘড়িয়াল সহ বেশ কয়েকটি বিলুপ্তপ্রায় জলজ প্রাণীর সংরক্ষণের বিষয়ে পদক্ষেপ করলো।সোমবার গঙ্গার তীরবর্তী ৯ টি জেলার বন দফতরের অধিকারিকদের নিয়ে এই বিষয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন হয় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষা ভবনে।

এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বন দফতরের প্রধান সৌমিত্র দাশগুপ্ত সহ বিভিন্ন জেলার বনাধিকারিকরা। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, মালদা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, নাদিয়া জেলার আধিকারিকরা। বন দফতরের প্রধান সৌমিত্র দাশগুপ্ত জানান, ‘ গাঙ্গেয় ডলফিন সংরক্ষণের জন্য খুব শীঘ্রই ‘ডলফিন মিত্র’ নামে প্রকল্প চালু করা হবে। আগামী আর্থিক বছর থেকেই গাঙ্গেয় ডলফিন সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হতে চলেছে।

বন দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, মূলত গঙ্গা তীরবর্তী অঞ্চলে ডলফিন ও অন্যান্য জলজ প্রাণী যেমন ঘরিয়াল, ভোঁদরের মতো প্রাণী যারা বাস্তুতন্ত্রের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেগুলিকে সংরক্ষণ করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ডলফিন সংরক্ষণের জন্য স্থানীয় মানুষ ও মৎসজীবীদের কাজে লাগানো হবে। তাদের প্রশিক্ষণ ও সচেতনতার মাধ্যমে এই কাজ করা হবে। পাশপাশি, ডলফিন গণনা, গঙ্গার জল পরিষ্কার রাখার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বন দফতরের প্রধান সৌমিত্র দাশগুপ্ত জানান, ‘এই প্রাণীগুলো ধীরে ধীরে লুপ্তপ্রায় হয়ে পড়ছে। এখন শুধুমাত্র বইয়ের পাতায় প্রাণী গুলোর উল্লেখ পাওয়া যায়। তাই এই প্রাণীদের সংরক্ষণের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গঙ্গা তীরবর্তী জেলাগুলোর বন দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করা হলো। আগামী অর্থবর্ষ থেকেই এই প্রকল্পে কাজ শুরু হয়ে যাবে।’