ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,দেওয়ানদীঘি: পৌষ সংক্রান্তির রাতে আগুন লেগে ভস্মীভূত হয়ে গেল একটা আস্ত বসতবাড়ি। পরিবারের দশ জন সদস্য কে নিয়ে কার্যত রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছে রণজিৎ দাস। বর্ধমান ১ ব্লকের কুড়মুন ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম দাস পাড়ায় রনজিৎ দাসের বাড়ি তে শনিবার রাতে আগুন লেগে যায়। আগুন লাগার বিষয়টি টের পাবার পর সকলকে বাঁচাতে তখন কোনক্রমে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন স্বপরিবারে। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে পাড়ার লোকেরা ছুটে এসে জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে দমকলের একটি ইঞ্জিন এসেও আগুন নেভানোর কাজ করে। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ হয়ে যায়। ঘরের কিছুই আর অবশিষ্ট ছিলনা বলেই জানিয়েছেন, রণজিৎ বাবু।
জানা গেছে বাড়ির গৃহবধূ রাতে শোয়ার সময় ঘরে মশা তাড়ানোর ধুপ জ্বালিয়ে শুয়ে পড়েছিলেন। আর সেখান থেকেই এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে যায়। রণজিৎ বাবু জানিয়েছেন, এখন এই হাড় কাঁপানো শীতের রাতে পরিবারের দশ জন সদস্য কে নিয়ে কিভাবে কাটাবেন সেই ভাবনায় দিশেহারা পরিবারের সকলেই। ঘরে রাখা খাবারের চাল থেকে, পরনের শীত বস্ত্র কারুরই আর অবশিষ্ট নেই। আগুন সবই গ্রাস করেছে।
বিভিন্ন হাটে সবজির বীজ বিক্রী করেন রনজিৎ দাস। তার ভাইপোরা কেউ খেত মজুর কেউ রাজমিস্ত্রীর জোগানের কাজ করে। গৃহবধূ পুজা দাস বলেন, ‘সন্ধ্যা বেলায় শোবার আগে মশার হাত থেকে বাঁচতে ধূপ দিয়েছিলাম। সেই ধুপেই সব শেষ হয়ে গেল। পরিবারের দশ জন লোক। কেউ খেতে পাবো না। ছোট ছেলে গুলোর শীতের জামাকাপড়ও পুড়ে শেষ।’ খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দেওয়ানদিঘী থানার কুড়মুন পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ। বর্ধমান ১ ব্লকের বিডিও অভিরূপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘বিষয়টি জানতাম না। খোঁজ নিয়ে দেখছি। ব্লক ও পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এই পরিবারটিকে যাতে সমস্ত রকমভাবে সহযোগিতায় করা যায় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’