ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, বর্ধমান: ফের বর্ধমান শহরে প্রাণঘাতী গতির কারণে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মুখে এক বাইক আরোহী যুবক। গুরুতর জখম আরো এক নাবালক। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ উল্লাস মোড় এলাকার কাছে জি টি রোডে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দ্রুত গতিতে একটি অন্য গাড়িকে ওভারটেক করার সময় রাস্তার মাঝে ডিভাইডারে সজোরে ধাক্কা মারে বাইকটি। দুর্ঘটনার পরই জ্ঞান হারায় বাইকের দুজন আরোহী।
আহত যুবককে নাম অমিত রায়(১৮), বাড়ি বর্ধমান শহরের আনন্দপল্লি কালিতলা এলাকায়। পাশাপাশি একই বাইকে থাকা জখম আরেক নাবালকের নাম শিলাজিৎ চৌধুরী(১৬), বাড়ি একই পাড়ায়। দুজনকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা ও পুলিশ উদ্ধার করে অনাময় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেছেন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কেবলমাত্র মোটর সাইকেলের অত্যাধিক গতি, আর বেপরোয়া মনোভাবের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় অনেকেই জানিয়েছেন, সন্ধ্যে নামতেই উল্লাস মোড় সংলগ্ন এলাকা কার্যত গোটা বর্ধমান শহর ও সংলগ্ন এলাকার যুবক যুবতীদের একমাত্র ‘ডেস্টিনেশনে’ পরিণত হয়। অনেকেই জানিয়েছেন, ‘এই এলকায় কি ‘মধু’ আছে যুব সমাজের জন্য, সেটাই তারা জানেন না।’ প্রশাসন প্রতিদিন এই বাইক আরোহীদের বেয়াদপি দেখেও একপ্রকার উদাসীন। আর এই উদাসীনতার জন্যই এই ধরনের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন স্থানীয় একাধিক ব্যবসায়ী থেকে বসবাসকারী মানুষ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে অনাময় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চিকিৎসাও শুরু হয়েছে। দুজনেরই মাথায় আঘাত লেগেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। তার মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদিকে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, উল্লাস মোড় এলাকায় জিটি রোড কিংবা জাতীয় সড়কে প্রতিদিন একাধিক যুবক অত্যাধিক গতিতে মোটর সাইকেল চালিয়ে নিজেদের ‘পাঁয়তারা’ দেখানোর প্রয়াস চালায়।
অভিযোগ, প্রত্যেকের কাছেই নানান কোম্পানির দ্রুতগামী দামী মোটর সাইকেল থাকে। এরা কাউকেই পরোয়া করে না। নিজেদের মতো করে রাস্তায় অন্যের অসুবিধা সৃষ্টি করেই বেপরোয়া ভাবে বাইক চালায়। এদের কেউই সতর্ক করে না বলেই স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। এমনকি ট্র্যাফিক পুলিশও এদের দিকে নজর দেয় না বলেই অভিযোগ। ফলে প্রতিদিন এই ধরনের দুর্ঘটনার পাশাপাশি সাধারণ মানুষ প্রতিদিন এই রাস্তায় ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে অভিযোগ করছেন শহর ও শহরতলীর একাধিক মানুষ। উল্লেখ্য, এর আগেও এই উল্লাস এলাকায় একাধিক দুর্ঘটনার ঘটেছে।