---Advertisement---

খন্ডঘোষে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে গৃহবধূর উপর হামলা, মারধরের অভিযোগ, গ্রেপ্তার এক

Souris Dey

Published

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,খন্ডঘোষ: শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমান জেলার খন্ডঘোষ ব্লকের শাঁখারি এক অঞ্চলের কেশবপুর এলাকা। ঘটনায় মায়া শেখ নামের এক গৃহবধূ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, চার জন সিঁড়ি দিয়ে ঢুকে বাড়িতে ভাঙচুর করে। চুলের মুঠি ধরে রুমের বাইরে বের করে আমাকে মারধর করে দেবা আর মঈন নামের দুই যুবক। গায়ে থাকা জামাও ছিঁড়ে দেয় বলেও অভিযোগ তার। মূল দরজায় ভিতর থেকে খিল থাকায় ছাদের সিঁড়ি দিয়ে তারা বাড়ির ভিতরে ঢোকে।

বিজ্ঞাপন

গৃহবধূর আরও অভিযোগ, ঘর ভাঙচুর সহ জানালার কাঁচ ভেঙে ফেলা হয়। বাড়িতে হামলার পরে ৪৫ হাজার টাকা, সাথে চার ভরি সোনা সেগুলি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি তার ৯বছরের পুত্র সন্তানের পেটেও লাথি মারে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিস্তারিত খতিয়ে দেখে। গৃহবধূর অভিযোগ, হামলাকারীদের হাতে লাঠি, রড, বোমা বারুদ ছিল। গৃহবধূ জানান, তার স্বামী বিধায়কের সাথে থেকে তৃণমূল কংগ্রেস দল করে, আর সেটাই অন্যায়। যারা হামলা চালিয়েছে তারা ব্লক সভাপতির অনুগামী বলেও দাবি করেন গৃহবধূ মায়া শেখ।

ঘটনার সূত্রপাত রবিবার বিকেল নাগাদ। ঘটনার খবর পেয়ে খণ্ডঘোষ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছায় ঘটনাস্থলে। বসানো হয় পুলিশ পিকেট। আক্রান্ত গৃহবধূর তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয় খন্ডঘোষ থানায়। রবিবার একজন-কে গ্রেফতার করা হয় যার নাম নাসিরুদ্দিন মল্লিক ওরফে হারা, বাড়ি কেশবপুর এলাকায়। ধৃত কে সোমবার পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে হামলাকারী সকলেই এলাকায় বেআইনি বালি কারবারের সঙ্গে যুক্ত। এলাকা দখলে রাখা ও নিজেদের ক্ষমতা জাহির করার জন্যই বিধায়ক ঘনিষ্ঠ কর্মীর উপর হামলা চালিয়েছে ব্লক সভাপতি ঘনিষ্ঠ এই দুষ্কৃতীরা। পুলিশ হামলাকারী বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।

ঘটনার বিষয়ে তৃণমূল মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস  বলেন, ’এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনো যোগ নেই। এটা এলাকাগত একটা দ্বন্দ্ব। বিয়ে বাড়িতে কে আগে খেতে বসবে সেই সংক্রান্ত একটা ঝামেলা বলে শুনেছি সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়, পরবর্তীকালে একটা অশান্তির সৃষ্টি হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে। ওখানে তৃণমূলের কোন গোষ্ঠী নেই। সবাই কোথাও না কোথাও রাজনৈতিক দল করে, কারোর না কারোর সাথে থাকে, একটা পরিচয় ব্যক্তিগত থাকতেই পারে, সেই পরিচয় ধরে তৃণমূলের নাম জড়ানো এটা ঠিক নয়।’

See also  দুই ভিলেজ সিভিকের তৎপরতায় উদ্ধার ব্যবসায়ীর পাঁচ লক্ষাধিক টাকা, গ্রেপ্তার দুই দুষ্কৃতী
শেয়ার করুন 🤝🏻

Join WhatsApp

Join Now
---Advertisement---