ঋণদানকারী সংস্থার তাগাদার চাপে শক্তিগড়ে আত্মঘাতী স্বামী স্ত্রী, শোক এলাকাজুড়ে

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,শক্তিগড়: ছেলের নেওয়া ঋণের বোঝা টানতে না পেরে এবং ঋণদানকারী সংস্থার লোকেদের অপমান সহ্য করতে না পেরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন বাবা, মা। বৃহস্পতিবার সকালে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার শক্তিগড় থানার বড়শুল গ্রামের গোপালপুর এলাকায়। মৃত ব্যক্তির নাম হেমন্ত মালিক (৬৫) এবং তাঁর স্ত্রী রেখা মালিক (৫৫)। তাঁরা গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হেমন্ত বাবু ও রেখা দেবীর দুই ছেলে। ছোট ছেলে রমেশ মালিক দুটি ব্যাংক থেকে মোটা টাকা ঋণ নিয়েছিল। সেই টাকা ঠিকঠাক পরিশোধ করছিল না বলে অভিযোগ। দিন তিনেক আগে রেখা দেবীর বাপের বাড়ি জামালপুর থানার জামুদহ তে গিয়ে ঋণদানকারী সংস্থার লোকেরা রেখা দেবী কে বাড়ি থেকে হাত ধরে টেনে বের করে অপমান করে বলে অভিযোগ। জানা গেছে, হেমন্ত বাবুর দিন পনেরো আগে সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছিল। তিনিও অসুস্থ ছিলেন।

গতকাল ব্যাংকের ঋণ আদায়কারী লোকেরা সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাড়িতে বসে ছিল। বড় ছেলে মনেশ মালিকের অভিযোগ, ‘ব্যাংকের লোকেরা মা, বাবার ওপর তীব্র চাপ সৃষ্টি করেছিল যে জমি,বাড়ি বিক্রি করে তাদের টাকা শোধ করতে হবে। এই চাপ বাবা, মা নিতে পারেননি।’ এদিকে ঘটনার পর থেকেই ছোট ছেলে রমেশ মালিক পলাতক।

এলাকাবাসীদের অভিযোগ, বয়স্ক এবং অসুস্থ জেনেও ঋণদানকারী সংস্থার লোকেরা যেভাবে রেখা দেবী ও হেমন্ত বাবুকে লোক সমাজে হেনস্থা ও অপদস্থ করেছে এর বিরুদ্ধে ওই সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা হওয়া উচিত। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার ময়না তদন্তের জন্য বর্ধমানে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আরো পড়ুন