ক্রাইম

দশমীর রাতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা, গ্রেপ্তার স্বামী

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বিজয়া দশমীর রাতে স্ত্রীকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান থানার পুলিস। ধৃতের নাম প্রশান্ত মাল। বর্ধমান থানার হরিনারায়ণপুরের শুড়িপুকুর এলাকায় তার বাড়ি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ঘটনার পর স্ত্রী মারা গেছে ভেবে সে সরাসরি বর্ধমান থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে। পুলিশকে সে তার অপকর্মের কথাও জানিয়ে দেয়।

এরপরই পুলিস অভিযুক্তকে নিয়ে তার বাড়িতে পৌঁছয়। ঘটনার সত্যতা মেলায় প্রশান্ত মাল কে রাতেই পুলিস আটক করে। পাশাপাশি রানু মাল কে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে পুলিশ। পরে নির্যাতিতা রানু মালের মা রীতা মালের অভিযোগ পেয়ে বধূ নির্যাতন ও খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু করে পুলিস অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।

বৃহস্পতিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। কি কারণে স্ত্রীর কে গলা টিপে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে সে বিষয়ে জানতে ও প্রমাণ সংগ্রহ করতে ধৃতকে সাতদিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিস। ধৃতের পাঁচদিনের পুলিসি হেফাজত মঞ্জুর করেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় ১১ বছর আগে দেওয়ানদিঘি থানার ভিটা রায়পুরের বাসিন্দা সহদেব মালের মেয়ে রানুর সঙ্গে প্রশান্তর বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে রানুর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয়। তাঁকে হামেশাই মারধর করা হতো। এমনকী প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হতো। বেশ কয়েকবার তাঁকে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। ভবিষ্যতের কথা ভেবে বাপেরবাড়ির লোকজন বুঝিয়ে সুঝিয়ে তাঁকে শ্বশুরবাড়িতে ফেরত পাঠান।

বুধবার গভীর রাতে রানুর শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁর বাপেরবাড়িতে ফোন করা হয়। ফোনে রানুকে মারধর করা হয়েছে বলে জানানো হয়। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানতে পারেন বাপেরবাড়ির লোকজন। এরপরই তড়িঘড়ি বাপেরবাড়ির লোকজন হাসপাতালে পৌঁছন। সেখানে রানুকে অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা। রানু মালের মা রীতা মাল জানিয়েছেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা জানতে পারেন রানুকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে রানুর বাপেরবাড়ির লোকজন। এরপরই মা রীতা মাল রাতেই ঘটনার কথা জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।