ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,কাটোয়া: ভরদুপুরে যাত্রীবাহী বাসের ভিতরেই ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীর গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে পালালো যুবক। ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাস টিকে আটক করে। পাশাপাশি খুনির সন্ধানে চিরুনি তল্লাশি শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই খুনিকে ধরেও ফেলে পুলিশ। স্বাভাবিকভাবেই নিজের আত্মীয়ের পাশে বসে যাবার সময় চলন্ত যাত্রীবাহী বাসের ভিতরেই যুবকের প্রাণঘাতী হামলার ঘটনায় তীব্র আলোড়ন ছড়িয়েছে এলাকায়।
হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে কেতুগ্রামের কুমোরপুরের কাছে। বাসের যাত্রীদের কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘাতক যুবক বাস থেকে নেমে পালিয়ে যায় বলে অভযোগ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত যুবকের নাম বাবু শেখ। তার বাড়ি কাটোয়ার হরিপুর গ্রামেই। তার বাবার সবজির ব্যবসা রয়েছে। খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত বাবু মাদক সেবন করতো বলেও পুলিশ জানতে পেরেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত কিশোরীর নাম আরসিদা খাতুন (১৫) ওরফে জ্যোতি। সে কাটোয়া থানার হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা। আরসিদা কাটোয়া ডিডিসি গার্লস হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। দুদিন আগে কেতুগ্রামের আন্না গ্রামে মাসির বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। এদিন নিহতের মাসি শম্পা বিবি তাঁর পাঁচ বছরের ছেলে ও জ্যোতিকে নিয়ে বাসে কাঁদরা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন।
কুমোরপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসটি ছেড়ে যেতেই একটি ইটভাটার সামনে ওই বাসে কালো প্যান্ট সাদা জামা পরে এক যুবক ওঠে। জানা গেছে, বাসের প্রথম গেটের পর দ্বিতীয় সিটে জানালার ধারে বসেছিল জ্যোতি। পাশেই ছেলেকে কোলে নিয়ে বসেছিলেন মাসি শম্পা। অভিযোগ, তাঁর সামনেই ছুরি বের করে কিশোরীর গলায় একাধিকবার কোপ মারে অভিযুক্ত বাবু শেখ। রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানেই লুটিয়ে পড়ে মেয়েটি। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। ইতিমধ্যেই পুলিশ খুনি কে গ্রেপ্তার করেছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারনা এর পিছনে প্রেমঘটিত কারণ থাকতে পারে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।