পার্থ-অর্পিতার বন্ধ ফ্ল্যাটের ভিতর বন্দী অনেকে! ইডি কে চিঠি বর্ধমানের সংস্থার

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: ইডি র হানার পর পার্থ অর্পিতার একাধিক ফ্ল্যাট এখন কার্যত বন্ধ। তবে সেইসব ফ্ল্যাটের ভিতর এখনও রয়ে গিয়েছে বেশ কিছু মূল্যবান সম্পত্তি। যেগুলো একপ্রকার অনাদরে, অসহায় অবস্থায় আটকে রয়েছে। আর এইসব সম্পত্তির অবিলম্বে দেখভালের দায়িত্ব নিতে চেয়ে ইডি (enforcement directorate) কে চিঠি পাঠিয়েছে বর্ধমানের ভয়েস ফর দ্যা ভয়েসলেস নামে একটি পশু প্রেমী সংস্থা। কিন্তু বন্ধ ফ্ল্যাটে কি রয়ে গেছে? কেনই বা একটা পশুপ্রেমী সংস্থা সেই সবের দায়িত্ব নিতে চেয়েছে?

বিজ্ঞাপন

শিক্ষা ও শিল্প মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী অর্পিতা কে ইডি গ্রেপ্তার করার পর থেকেই তাদের একের পর এক বাড়ির হদিস পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই সেই সমস্ত বাড়ি ও ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি নগদ টাকা, কয়েক কেজি গহনা, দলিল, দস্তাবেজ ও আরো কিছু গুরুত্বপূর্ন সামগ্রী উদ্ধার করেছে তদন্তকারী অফিসারেরা। বর্তমানে তদন্তের প্রয়োজনে ফ্ল্যাট গুলো তালাবন্ধ করে রাখা হয়েছে। আর সমস্যা তৈরি হয়েছে এখানেই। টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটি সাউথ আবাসনের ১৯তলায় বন্ধ ফ্ল্যাটের ভিতরে অসহায় অবস্থায় আটকে রয়েছে ৯টি বিভিন্ন বিদেশি প্রজাতির সারমেয়। প্রায় একপ্রকার অনাহারে দিন কাটছে তাদের বলে আশঙ্কা।  সারমেয়গুলির মধ্যে একটি রটওয়েলার, একটি ইংলিশ বুলডগ, একটি ফ্রেঞ্চ বুলডগ। তা ছাড়াও রয়েছে একটি করে পাগ এবং বিগ্‌ল প্রজাতির কুকুর। রয়েছে দু’টি করে ল্যাব্রাডর এবং গোল্ডেন রিট্রিভার। এদের প্রত্যেকের খাদ্যাভ্যাস এক একরকম। স্বাভাবিকভাবেই এই প্রাণীদের অসহায় অবস্থার কথা চিন্তা করে বর্ধমানের ভয়েস ফর দ্যা ভয়েসলেস সংস্থার কর্ণধার অভিজিৎ মুখার্জি ইডি কে চিঠি লিখে এই সারমেয়দের দায়িত্বভার নেওয়া ও তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার আবেদন জানিয়েছেন।

অভিজিৎ মুখার্জি বলেন,” আমরা খুব চিন্তায় রয়েছি। তিন চারদিন কুকুরগুলো ঠিকমত জল ও খাবার না পেলে যেকোন সময় অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। কুকুরগুলোর ড্রিহাইড্রেশনের আশঙ্কা করছি আমরা। অবিলম্বে কুকুরগুলোকে সেখান থেকে সরিয়ে এনে চিকিৎসার প্রয়োজন। প্রয়োজনে  তাদের খুব তাড়াতাড়ি স্যালাইন দিতে হবে। বর্ধমানে আমরা প্রাণীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল তৈরি করছি। সেখানে ইতিমধ্যেই চিকিৎসা পরিকাঠামো রয়েছে। আমরা সেখানেই কুকুরগুলো নিয়ে যেতে চাই। এব্যাপারে ইডি আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করলে অবলা প্রাণীগুলো বেচেঁ যাবে।”

কিন্তু তদন্তের যা গতিপ্রকৃতি তাতে ইডি না চাইলে কি আপনাদের কিছু করার আছে? এই প্রশ্নে অভিজিৎ বাবু বলেন,” এইভাবে এতোগুলো অসহায় অবলা প্রাণীদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া প্রাণীদের প্রতি চরম হিংসার নামান্তর। এটা সভ্য সমাজ মেনে নেবে না। প্রয়োজনে আমরা এই বিষয়ে প্রাণী সুরক্ষা সংক্রান্ত আইনের দ্বারস্থ হব।” এখন দেখার বিষয় ইডি কর্তৃপক্ষ পশুপ্রেমী সংস্থার আবেদনে আদৌ সাড়া দেয় কিনা। দিলেও তা কতদিন লাগতে পারে।পাশাপাশি মানুষের অন্যায়ের বিচার করতে নেমে তদন্তকারী দপ্তর এই অবলা প্রাণী গুলোর প্রতি কতটা ন্যায় বিচার করে সেটাই এখন দেখার বিষয় বলে জানাচ্ছেন ওয়াকিবহাল মহল।

আরো পড়ুন